ফাইল ছবি
খাদ্যের উচ্চমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে ট্রাম্প প্রশাসনের আমদানি শুল্ক নীতিতে পরিবর্তন আসতে পারে বলে ইঙ্গিত দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তারা। বিশেষ করে কলা ও কফির মতো জনপ্রিয় ভোক্তাপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে আরোপিত শুল্কহারে বড় ধরনের কর্তন দেখা দিতে পারে বলে অভিমত তাদের।
ট্রাম্প প্রশাসনের ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান কেভিন হাসেট। জেরোম পাওয়েলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আগামী বছর ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ার হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে এ পদে নিয়োগ দিতে পারেন বলে জোর গুঞ্জণ রয়েছে। চলতি সপ্তাহেই ওয়াশিংটনে এক অনুষ্ঠানে কেভিন হাসেট জানান, ট্রাম্প প্রশাসন খাদ্যপণ্যের আমদানি শুল্কহার সমন্বয়ের মাধ্যমে দাম কমানোর চেষ্টা করতে পারে। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরেই জনপরিসরে শুল্কহারে পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। আমারও মনে হয় এক্ষেত্রে আরো কিছু পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে।’
যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমান মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক বলে দাবি করলেও এ সময় কেভিন হাসেট স্বীকার করেন যে ট্রাম্পের আমলে খাদ্যপণ্যের দাম আরো বেড়েছে।
একই দিনে ফক্স বিজনেসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন আগামী কয়েক দিনের মধ্যে খাদ্যের দাম কমানোর লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিতে যাচ্ছে। এর মধ্যে কফি, কলা ও অন্যান্য ফল আমদানিতে আরোপিত শুল্ক হ্রাসও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
প্রসঙ্গত, বিশ্বের কফির শীর্ষ ভোক্তাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে কফি আমদানি করা হয় প্রধানত ব্রাজিল থেকে। দেশটি থেকে পণ্য আমদানির ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক ধার্যের পর যুক্তরাষ্ট্রে কফির দাম ব্যাপক মাত্রায় বেড়ে যায়। এছাড়া দেশটিতে কলাসহ বিভিন্ন ফল আমদানি করা হয় লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ানের বিভিন্ন দেশ থেকে। এসব দেশের ওপরেও পণ্য আমদানিতে উচ্চশুল্ক আরোপ করে রেখেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে এবং কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের গভর্নর নির্বাচনে রিপাবলিকানদের বিপর্যয়কর ফলাফলের পর এমন ঘোষণা আসতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এসব নির্বাচনে ট্রাম্প-সমর্থিত প্রার্থীদের ভরাডুবির জন্য বিতর্কিত এ শুল্কনীতিকেই অনেকাংশে দায়ী করা হচ্ছে। শুল্কের কারণে ভোক্তাপণ্যের দাম বাড়ায় অনেক নাগরিকের জন্যই জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: