যেখানে গেলে কেউ আর ফিরে আসেন না !

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২০ মে ২০২৩ ২২:০৪

সাংগ্রিলা উপত্যকা : সংগৃহীত ছবি সাংগ্রিলা উপত্যকা : সংগৃহীত ছবি

 

ঠিক কোথায় রয়েছে সাংগ্রিলা উপত্যকা? রয়েছে হাজারও ধন্দ। আদৌ কি রয়েছে এই উপত্যকা? তা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। তবু বছরের পর বছর এই উপত্যকা খুঁজে চলেছেন অনুসন্ধানকারীরা। জনশ্রুতি, যাঁরা খুঁজে পেয়েছেন, তাঁরা নাকি আর ঘরে ফেরেননি।

রহস্যে ঘেরা এই উপত্যকাকে অনেকেই ‘পূর্বের বারমুডা ট্রায়াঙ্গল’ বলে থাকেন। বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের মতো এই উপত্যকাতেও লুকিয়ে রয়েছে অনেক অজনা তথ্য। এখানে এলেও নাকি মানুষ হারিয়ে যান। কিন্তু কোথায়? তার হদিস নেই।

উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের পশ্চিম দিকে এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গল। সেখানে বহু জাহাজ আর বিমান রহস্যজনকভাবে হারিয়ে গেছে। সাংগ্রিলাও অনেকটা সেই বারমুডা দ্বীপের মতোই। সেখানেও নাকি রয়েছে অজানা এক শক্তি। অনেকে বলে থাকেন, সেখানে বাস করে ‘আত্মারা’। মর্ত্য আর স্বর্গের মধ্যে নাকি সংযোগ রক্ষা করে এই উপত্যকা।

মনে করা হয়, তিব্বত এবং অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তের কোনো এক জায়গায় রয়েছে সাংগ্রিলা উপত্যকা। এই উপত্যকা নাকি অন্য জগতে যাওয়ার দরজা। এই সাংগ্রিলা উপত্যকাকে শম্ভলা বা সিদ্ধ আশ্রমও বলা হয়ে থাকে। এ নিয়ে ‘দ্যাট মিসটেরিয়াস ভ্যালি অফ টিবেট’ নামের একটি বইও রয়েছে।

বইটিতে বলা হয়েছে, সাংগ্রিলা উপত্যকার অস্তিত্ব রয়েছে। সেখানে গেলে মন, মস্তিষ্ক, চিন্তাভাবনা নাকি অন্য এক উচ্চতায় পৌঁছে যায়। তবে কী হয়, তা বলার জন্য কেউ আর সেখান থেকে ফেরেননি। রহস্যজনক ওই উপত্যকায় সময় কোনো প্রভাব ফেলতে পারে না। সময় নাকি সেখানে থমকে রয়েছে। তাই ওই উপত্যকার উপর দিয়ে বিমান এখনও উড়ে যেতে পারে না। সেখানে যারা পৌঁছাতে পেরেছেন, তাদের নাকি বয়সও বাড়ে না।

চীনের লাল ফৌজ নাকি এই উপত্যকা হন্যে হয়ে খুঁজেছে বছরের পর বছর। তবু খুঁজে পায়নি এই সাংগ্রিলা উপত্যকা। শুধু চীনা সেনা নয়, বিভিন্ন দেশের বহু মানুষ এই সাংগ্রিলা উপত্যকার অনুসন্ধান চালিয়েছে। বিশেষত যারা তন্ত্রসাধনা বা পরলোক চর্চা করেন, তারা এই জায়গার খোঁজ করে চলেছেন। তবে এখন পর্যন্ত সফল হননি। 

প্রাচীন বই, উপনিষদে যে সব ভেষজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সে সবই নাকি পাওয়া যায় সাংগ্রিলাতে।

ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক জেমস হিল্টনও এই উপত্যকা নিয়ে একটি বই লিখেছেন। নাম লস্ট হরাইজন। তার দাবি, আদৌ এ রকম কোনো জায়গার অস্তিত্বই নেই পৃথিবীতে। ওই জায়গায় কেউ গিয়েছেন বলে এখন পর্যন্ত জানাতে পারেননি। তাহলে সেই জায়গার অস্তিত্ব থাকে কীভাবে?

১৯৩০ সাল নাগাদ প্রথম এই সাংগ্রিলার কথা শোনা যায়। ভারত থেকে পেশোয়ারগামী একটি বিমান ভেঙে পড়ে পথে। চারজন নিখোঁজ হন। সেই নিখোঁজেরাই নাকি সন্ধান পেয়েছিলেন সাংগ্রিলা উপত্যকার। তারপর সেখানেই থেকে গিয়েছিলেন তারা। আর কখনও ফিরে আসেননি। আর এই উপত্যকার গল্প নিয়ে আজও রয়েছে ধোঁয়াশা।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: