বিজয়ী বক্তব্যে যা বললেন নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র জোহরান মামদানি

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:০০

ফাইল ছবি ফাইল ছবি

জোহরান মামদানি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্কে ইতিহাস গড়েছেন। দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত এই মুসলিম রাজনীতিক শহরটির প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।নিউইয়র্ক সিটির নতুন মেয়র জোহরান মামদানি তার বিজয়ী বক্তব্যে তার বিজয়ে মানবতার নতুন দিনের সূচনা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন।

ব্রুকলিনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সমাবেশে উচ্ছ্বসিত সমর্থকদের উদ্দেশে মামদানি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শ্রমজীবী মানুষকে ধনী ও ক্ষমতাবানরা বোঝাতে চেয়েছে যে ক্ষমতা তাদের হাতে নয়। কিন্তু গত এক বছরে আপনারা প্রমাণ করেছেন, আপনাদের হাতেই সেই ক্ষমতা। আজকের এই জয় অসম্ভবকে সম্ভব করেছে।

তিনি বলেন, আমরা একটি রাজনৈতিক বংশের পতন ঘটিয়েছি। প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যান্ড্রু কুমোকে উদ্দেশ করে মামদানি বলেন, আমি তার ব্যক্তিজীবনের জন্য শুভকামনা জানাই। তবে আজকের পর তার নাম আর উচ্চারণ করতে চাই না।

নিজের নীতিমালা তুলে ধরে মামদানি বলেন, এই নির্বাচনে জনগণ ‘পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে’ এবং এমন এক শহরের পক্ষে রায় দিয়েছে, যেখানে সবাই বসবাস করতে পারবে।

তিনি নিউইয়র্কের বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান—ইয়েমেনি মুদি দোকান মালিক, সেনেগালিজ ট্যাক্সিচালক, উজবেক নার্স এবং ইথিওপীয় ‘আন্টি’-দের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই শহর আপনাদের হাতেই গড়ে উঠেছে। বক্তৃতায় মামদানি আবেগআপ্লুত হয়ে তার বাবা-মা ও স্ত্রী রামার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আজ আমি যা হয়েছি, তা বাবা-মায়ের জন্যই।

তিনি আরও বলেন, এই বিজয় এক লাখেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবকের, যারা এই প্রচারকে এক অপ্রতিরোধ্য শক্তিতে রূপ দিয়েছে। আপনাদের কারণেই আমরা আবার এমন এক শহর গড়ব, যেখানে শ্রমজীবী মানুষ বাঁচতে পারবে, ভালোবাসতে পারবে।

শেষে মামদানি বলেন, নিউইয়র্ক, আজ এই মুহূর্তটা গভীরভাবে অনুভব করো। আমরা বহুদিন শ্বাসরুদ্ধ অবস্থায় ছিলাম, পরাজয়ের আশঙ্কায় নিঃশ্বাস আটকে রেখেছিলাম। আজ আমরা আবার মুক্তভাবে শ্বাস নিচ্ছি—এক নবজাগ্রত শহরের বাতাসে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: