উদ্ধারকারী দল পেলাজিক রিসার্চ সার্ভিসেসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এড ক্যাসানো গত শুক্রবার একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তরে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে ক্যাসানো বলেন, এ অভিযানে অংশ নেওয়া তাঁর দলের সদস্যরা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন।
উত্তর আটলান্টিকের তলদেশে থাকা টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গত ১৮ জুন রওনা দিয়ে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয় টাইটান। পরে যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশ উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
উদ্ধার হওয়া ধ্বংসাবশেষের মধ্যে টাইটানের ল্যান্ডিং ফ্রেম ও রিয়ার কভার আছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন
২২ জুন কোস্টগার্ড জানায়, টাইটানের কিছু ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। উত্তর আটলান্টিকের তলদেশে বিপর্যয়কর অন্তর্মুখী চাপে টাইটান ধ্বংস হয়েছে। এ ঘটনায় টাইটানের পাঁচ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন।
ক্যাসানো বলেন, টাইটান যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হওয়ার পরই তাঁর দলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। পরে তাঁর প্রতিষ্ঠানের দূরচালিত ডুবোযান ওডিসিয়াস ৬কে টাইটানিকের টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছে পৌঁছে যায়।
পেলাজিক রিসার্চ সার্ভিসেসের সিইও বলেন, সমুদ্রের তলদেশে ওডিসিয়াস ৬কে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরই তাঁরা টাইটানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পান।
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে বলতে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ক্যাসানো। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি এ ঘটনার গুরুতর দিকটি স্বীকার করে নিতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান। একই সঙ্গে এই উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে বলেন তিনি। কানাডার সেন্ট জন’স পোতাশ্রয়ে দেশটির পতাকাবাহী একটি জাহাজ থেকে টাইটানের ধ্বংসাবশেষ ক্রেনের সাহায্যে ট্রাকে তোলা হচ্ছে
ক্যাসানো বলেন, তাঁদের উদ্ধারকাজের পরিকল্পনাটি ছিল এমন, টাইটানকে খুঁজে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে আটকে রাখা। উদ্ধারকাজের চ্যালেঞ্জের মাত্রাটি ছিল চরম।
পরে টাইটানের উদ্ধার হওয়া ধ্বংসাবশেষ তীরে আনা হয়। এই ধ্বংসাবশেষে নিহত ব্যক্তিদের দেহাবশেষ পাওয়া যেতে পারে বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: