বাংলাদেশে নতুন রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন আসলে কে?

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২২:০২

ফাইল ছবি ফাইল ছবি
বাংলাদেশের জন্য পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে মনোনীত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিনেটের অনুমোদন পেলেই তিনি বাংলাদেশে নিযুক্ত হবেন।
 
পররাষ্ট্র বিভাগের ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন পেশাদার কূটনীতিক। বর্তমানে ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র দপ্তরে আন্ডার সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এর আগে ২০১৯ থেকে তিন বছর ঢাকায় দূতাবাসে রাজনৈতিক বিভাগে কাউন্সিলর হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
 
ক্রিস্টেনসেন ২০২২ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত কমান্ডের (ইউএসএসট্র্যাটকম) কমান্ডারের বৈদেশিক নীতি উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর বৈশ্বিক কৌশলগত প্রতিরোধ মিশনের বৈদেশিক নীতির প্রভাব সম্পর্কে কমান্ডারকে পরামর্শ প্রদান করেছেন তিনি।
 
তিনি পররাষ্ট্র দপ্তরে রাজনৈতিক-সামরিক বিষয়ক ব্যুরোর আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও অস্ত্র স্থানান্তর অফিসের উপপরিচালক (২০১৬-২০১৯) এবং হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ কর্মীদের সঙ্গে পিয়ারসন ফেলো হিসেবে (২০১৫-২০১৬) দায়িত্ব পালন করেছেন। তার অন্যান্য দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে উত্তর কোরিয়া নীতির জন্য বিশেষ প্রতিনিধির বিশেষ সহকারী, পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিষয়ক ব্যুরো সাইবার সমন্বয়কারী, ম্যানিলায় দূতাবাসে অর্থনৈতিক বিষয়ক ডেপুটি কাউন্সিলর, সান সালভাদরে দূতাবাসে ডেপুটি ইকোনমিক কাউন্সিলর, পররাষ্ট্র দপ্তরে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ বিষয়ক অফিসে বাংলাদেশের কান্ট্রি অফিসার, রিয়াদে দূতাবাসে অর্থনৈতিক কর্মকর্তা এবং হো চি মিন সিটিতে কনস্যুলেট জেনারেলের ভাইস কনসাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
 
পররাষ্ট্র দপ্তরে তার কাজের পাশাপাশি ২০১৮-২০২১ সাল পর্যন্ত ক্রিস্টেনসেন ফেডারেল লেবার রিলেশনস অথরিটির অংশ, ফরেন সার্ভিস ইমপেসেস ডিসপিউটস প্যানেলের দুজন ক্যারিয়ার ফরেন সার্ভিস সদস্যের একজন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
ন্যাশনাল ওয়ার কলেজ থেকে স্নাতক এবং ২০২২ সালে ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ক্রিস্টেনসেন টেক্সাস এএন্ডএম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং রাইস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা স্টাডিজে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি স্প্যানিশ, জার্মান এবং ভিয়েতনামী ভাষায় কথা বলতে পারেন এবং ফরাসি, জাপানি এবং পর্তুগিজ ভাষায় পড়াশোনা করেছেন। ২০০২ সালে ফরেন সার্ভিসে যোগদানের আগে তিনি হিউস্টন এবং নিউইয়র্ক সিটিতে ব্যবস্থাপনা পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেছিলেন।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: