
গত মার্চে ইয়েমেনের হুথিদের ওপর হামলার বিষয়টি আগে থেকেই একটি চ্যাটিং গ্রুপে প্রকাশ করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। রোববার এ বিষয়ে অবগত দুটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। এতে বলা হয়েছে, মার্চে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী ইয়েমেনের হুথিদের লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার একটি চ্যাটিং গ্রুপে তথ্য প্রকাশ করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
ওই গ্রুপে মন্ত্রীর স্ত্রী, ভাই এবং তার ব্যক্তিগত আইনজীবীও ছিলেন। চ্যাটিং গ্রুপে এভাবে সামরিক তথ্য প্রকাশ করা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। ইতিমধ্যেই তথ্য ফাঁস করা নিয়ে ঊর্ধ্বতন এক সামরিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে পেন্টাগন। এখন এ বিষয়টি নিয়ে বেশ নাজুক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কেননা তথ্য প্রকাশের সঙ্গে পিট হেগসেথ জড়িত থাকার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক গোপনীয়তার জন্য মারাত্মক হুমকি বলে মনে করছেন অনেকে।
এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো কোনো চ্যাটিং গ্রুপে ইয়েমেনে হামলার তথ্য প্রকাশের খবর এলো। দ্বিতীয় চ্যাটে হেগসেথ এমন কিছু হামলার বিবরণ শেয়ার করেছেন যেগুলো গত মাসে দ্য আটলান্টিক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত তথ্যের সঙ্গে মিলে যায়। ম্যাগাজিনটির প্রধান সম্পাদক জেফরি গোল্ডবার্গকে ভুলবশত ওই চ্যাটিং গ্রুপে যুক্ত করার পর ইয়েমেনে হামলার তথ্যগুলো তিনি প্রকাশ করে দেন। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিরক্ষা বিষয়ক একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভুলবশত জেফরিকে চ্যাটিং গ্রুপটিতে যুক্ত করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্র জানিয়েছে, দ্বিতীয় চ্যাটিং গ্রুপে এক ডজনের বেশি মানুষ যুক্ত ছিলেন। সামরিক পরিকল্পনার পরিবর্তে প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যেই এই গ্রুপ খোলা হয়। সূত্র জানিয়েছে, গ্রুপে প্রকাশিত তথ্যের মধ্যে ইয়েমেনে বিমান হামলার বিস্তারিত নির্দেশনা রয়েছে।
পেন্টাগন কর্তৃক প্রকাশিত ছবিতে হেগসেথের স্ত্রী জেনিফারকেও দেখা যায়। তিনি ফক্স নিউজের প্রযোজক ছিলেন। পররাষ্ট্র বিষয়ক সামরিক প্রতিপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তাকে অংশ নিতে দেখা গেছে। মার্চে পেন্টাগনের সঙ্গে বৃটিশ প্রতিরক্ষা দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করেন হেগসেথ। সেসময় তার স্ত্রীকেও তার সঙ্গে দেখা যায়। এছাড়া হেগসেথের ভাই পেন্টাগনের হোমল্যান্ডের সিকিউরিটি বিভাগের একজন লিয়াজোঁ।
এভাবে সামরিক তথ্য ফাঁসের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে হেগসেথও পেন্টাগনে প্রচেষ্টাকে সাদরে গ্রহণ করেছেন। পেন্টাগনের মুখপাত্র সিন পারনেল কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়াই বলেছেন, মিডিয়া সাবেক কর্মচারীদের অভিযোগকে আমলে নিয়ে এসব তথ্য ছড়াচ্ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: