আমেরিকা ঢেলে সাজাবেন নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটা ছিল তার নির্বাচনী প্রচারণার প্রতিশ্রুতি। সে অনুযায়ী সরকারি চাকরি থেকে ১ লাখ লোক ছাঁটাইয়ের দায়িত্ব দিলেন ইলন মাস্ক ও রামাস্বামীকে। বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা।
মঙ্গলবার ধনকুবের ইলন মাস্ক ও বিবেক রামাস্বামীকে ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্মেন্ট ইফিশিয়েন্সি’ বা ‘ডোজ’ নামে নতুন এক বিভাগের দায়িত্ব দিয়েছেন ট্রাম্প।
গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। আর ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিবেক রামাস্বামী প্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তা, অধিকারকর্মী ও বিনিয়োগকারী।
এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, একসঙ্গে এই দুই চমৎকার আমেরিকান আমার প্রশাসনের জন্য সরকারি আমলাতন্ত্রকে আরও কার্যকর করে তুলবেন। বাড়তি নীতিমালা কমিয়ে আনা, অহেতুক ব্যয় কমানো ও কেন্দ্রীয় সরকারের দপ্তরগুলোর পুনর্গঠনের পথকে প্রশস্ত করবেন।
ট্রাম্প এই উদ্যোগকে ‘আমাদের আমলের ম্যানহাটন প্রজেক্ট’ বলে অভিহিত করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন সরকারের পারমাণবিক বোমা তৈরির অত্যন্ত গোপনীয় প্রকল্পের নাম ছিল ম্যানহাটন প্রজেক্ট।
নতুন সরকারি পদ গ্রহণের পর ব্যবসায়ী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে মাস্কের ভবিষ্যৎ কী, সেটা নিয়ে ওয়াল স্ট্রিট ও সিলিকন ভ্যালিতে জল্পনা কল্পনা শুরু হয়ে গেছে।
এ ঘোষণার পর আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান ওয়েডবুশ পূর্বাভাস দেয়, ‘প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে টেসলা ও স্পেসএক্স ওয়াল স্ট্রিটের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাস্কের এই দুই ভূমিকায় কোনো পরিবর্তন আসবে না।’
তবে একইসঙ্গে সরকার ও ব্যবসা খাতে পদচারণায় মাস্কের জন্য সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। দেখা দিতে পারে স্বার্থের দ্বন্দ্ব। ‘ডোজ’ বিভাগের কার্যক্রমে তার ব্যবসায় প্রভাব পড়তে পারে।
‘ডোজ’ বিভাগের মাধ্যমে ট্রাম্প আরও যেসব লক্ষ্য পূরণ করবেন তার মধ্যে আছে ‘বাড়তি নীতিমালা কমানো’। এ ধরনের কয়েকটি নীতিমালার বেড়াজালে আটকে আছে টেসলা। একইসঙ্গে টেসলার বিরুদ্ধে কয়েকটি সরকারি বিভাগের তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
ট্রাম্পের নতুন শাসনামলে এ প্রক্রিয়াগুলোর ভবিষ্যত কী হতে পারে, এ মুহূর্তে সেদিকে দৃষ্টি ফিরিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: