যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ ‘সুইং স্টেট’ বা দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে নির্বাচনি কর্মকর্তারা মিথ্যা তথ্য, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব, হুমকি ও সম্ভাব্য সংঘাততের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। হুমকি মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে অঙ্গরাজ্যগুলো।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভোট কারচুপির মিথ্যা অভিযোগের প্রধান লক্ষ্যবস্তু ফিলাডেলফিয়া, ডেট্রয়েট ও আটলান্টায় এবারের ভোট গণনার প্রক্রিয়া কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে চলছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ফিলাডেলফিয়ার ব্যালট গণনা কেন্দ্রটি কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘেরা। ডেট্রয়েট ও আটলান্টার নির্বাচন অফিসগুলোতে বসানো হয়েছে বুলেটপ্রুফ কাঁচ। উইসকনসিনে ভোটকর্মীদের ‘উত্তেজনা প্রশমণের’ কৌশল শেখানো হয়েছে। ভোটকেন্দ্রগুলো পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। যাতে করে প্রয়োজনে কর্মীরা বিক্ষোভকারীদের সামনে থেকে নিরাপদে সরে যেতে পারেন।
২০২০ সালে অ্যারিজোনায় কারচুপির মিথ্যা অভিযোগের জন্য রিপাবলিকানরা দায়ী করেছিলেন। সেখানে নির্বাচনি কর্মকর্তারা ফেক নিউজ ঠেকাতে ডিপফেক ছবি ও ভিডিও মোকাবিলায় সচেষ্ট রয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে ফিলাডেলফিয়া সিটি কমিশনার লিসা ডিলি বলেন, ট্রাম্প ও তার সহযোগীরা ভোট গণনার সময় মিথ্যা প্রচার চালানোর চেষ্টা করলেও আমরা এই মিথ্যাকে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।
ডেট্রয়েটের নির্বাচনি সদর দফতরটি সশস্ত্র প্রহরী এবং বুলেটপ্রুফ কাঁচ দিয়ে সুরক্ষিত রাখা হয়েছে। শহরটির নির্বাচনি কর্মকর্তা ড্যানিয়েল ব্যাক্সটার বলেন, আমরা সংঘাতের আশঙ্কা করছি এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছি।
আটলান্টার অধিকাংশ কৃষ্ণাঙ্গ জনসংখ্যার ফালটন কাউন্টিতে নির্বাচনি কর্মকর্তারা ট্রাম্পপন্থি ভুয়া তথ্য মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছেন।
ডেট্রয়েট সিটি ক্লার্ক জানিস উইনফ্রে বলেছেন, ট্রাম্প আমাদের শহরের কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠীকে হুমকি দিতে চাইলেও আমরা মোটেও ভীত নই।
নর্থ ক্যারোলাইনাসহ বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নির্বাচনি কর্মকর্তাদের হুমকি ঠেকাতে প্যানিক বোতাম, বুলেটপ্রুফ কাঁচ এবং নিরাপত্তা ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
নেভাডায় মেইল-ইন ব্যালটের গণনা শুরু হয়েছে ভোটের দিনের দুই সপ্তাহ আগে। অ্যারিজোনাতে এআই জেনারেটেড ভুয়া খবর মোকাবিলায় বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: