যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো একক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কমলা হ্যারিস। প্রধান দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য (সুইং স্টেট) পেনসিলভানিয়ায় এবিসি নিউজের কার্যালয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার এই সাক্ষাৎকার দেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা। সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি, রাজনৈতিক দুর্বলতা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলাপ করেন তিনি। সেই সঙ্গে নেতৃত্বে তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে আসবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পেনসিলভানিয়ার জনস্টনে গত শুক্রবার ১১ মিনিট ধরে সাক্ষাৎকার দেন কমলা। কিভাবে জিনিসপত্রের দাম কমাবেন, এই প্রশ্ন করা হয়েছিল তাঁকে। কারণ, বাইডেন প্রশাসনের শুরুর দিকে মুদ্রাস্ফীতি ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যাওয়ার পর থেকে মুদ্রাস্ফীতি কমতে শুরু করেছে। এমনকি বেকারত্বের হারও অনেক কমে গেছে।
জবাবে ৫৮ বছর বয়সী কমলা বলেন, ব্যবসা শুরু করার জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের তিনি ৫০ হাজার ডলার করছাড় দেবেন। একই সঙ্গে প্রথমবারের মতো বাড়ি কিনবেন, এমন ব্যক্তিদের ২৫ হাজার ডলার ডাউন পেমেন্টের সুবিধা দেবেন। তবে কারা কমলার এই পরিকল্পনার সুবিধাভোগী হবেন, তা স্পষ্ট নয়। গত মাসে কমলা প্রথমবারের মতো খাবারের মূল্যবৃদ্ধির ওপর কেন্দ্রীয় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তাব করেছিলেন।
তবে শুক্রবারের সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেননি তিনি। ওই সময় কমলার এই প্রস্তাবের কঠোর সমালোচনা করেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা। সোভিয়েত কায়দায় মূল্য নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে কমলার এই প্রস্তাবের তুলনা করেন ট্রাম্প।
আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে কমলা বলেন, সংবিধানে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার যে অধিকার রয়েছে, তাতে সমর্থন রয়েছে তাঁর। সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের সমালোচনা করে কমলা বলেন, আমেরিকান নাগরিকদের এমন কাউকে দরকার, যিনি দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারবেন।
ট্রাম্পের মতো এমন কাউকে প্রয়োজন নেই, যিনি বিভাজন তৈরি করতে চান। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত জুলাইয়ে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে গিয়ে কমলাকে সমর্থন দিয়েছিলেন। বাইডেনের সঙ্গে তাঁর কী পার্থক্য রয়েছে, জানতে চাইলে কমলা বলেন, তিনি জো বাইডেন নন। কমলা আরো বলেন, তিনি নতুন প্রজন্মকে নেতৃত্বে নিয়ে আসবেন।
সূত্র : বিবিসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: