ইরানের সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান মনে করেন, চাপে ফেলে ইরানকে দিয়ে কিছু করানো যাবে না, যুক্তরাষ্ট্রের এটা বোঝা উচিত।
আজ শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে পেজেশকিয়ান যুক্তরাষ্ট্রকে এ বার্তা দেন। পাশাপাশি তিনি চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে ইরানের বন্ধুত্বের সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেন।
সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত পেজেশকিয়ান ৫ জুলাই দ্বিতীয় দফা ভোটে কট্টর রক্ষণশীল সাঈদ জালিলিকে হারিয়ে ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। গত মে মাসে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় কট্টরপন্থী ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর সংবিধান মেনে ইরানকে আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করতে হয়।
‘নতুন বিশ্বকে আমার বার্তা’ শিরোনামে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে পেজেশকিয়ান বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের...বোঝা উচিত এবং বাস্তবতাকে মেনে নেওয়া উচিত। আবারও সবাইকে বলছি, ইরান চাপে পড়ে কিছু করে না, করবেও না এবং ইরান সরকারের প্রতিরক্ষা কৌশলে পরমাণু অস্ত্র অন্তর্ভুক্ত নয়।’
তিনি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন।
৬৯ বছর বয়সী পেজেশকিয়ান একজন হার্ট সার্জন। তিনি নিজের নির্বাচনী প্রচারণায় দেশবাসীকে সংস্কারের পক্ষে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যদিও তিনি এসব প্রতিশ্রুতি পূরণে কতটা সক্ষম হবেন, তা নিয়ে অনেক ইরানি সন্দিহান। কারণ, ইরানের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী প্রেসিডেন্ট নন, দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
বিবৃতিতে চীন ও রাশিয়াকে নিয়ে পেজেশকিয়ান বলেন, ‘কঠিন সময়ে চীন ও রাশিয়া নিরবচ্ছিন্নভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের কাছে এই বন্ধুত্ব খুবই মূল্যবান।’
তিনি বলেন, ‘রাশিয়া ইরানের মূল্যবান কৌশলগত মিত্র ও প্রতিবেশী। আমার প্রশাসন আমাদের এই সহযোগিতার সম্পর্কের আরও সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।’
তবে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে তেহরান তাতে সক্রিয়ভাবে সমর্থন দিয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: