ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ব্যক্তিগত বাড়ির সামনে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) শত শত বিক্ষোভকারী বাইডেনের বাড়ির কাছে জড়ো হয়ে গাজায় দ্রুত যুদ্ধবিরতির দাবি জানান।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় প্রতিদিন কোথাও না কোথাও ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভ হচ্ছে। শনিবার দেশটির ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যের উইলমিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ব্যক্তিগত বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনসহ বিভিন্ন কমিউনিটির শত শত মানুষ।
এ সময় ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি যুদ্ধবিরতির দাবি জানান তারা।
ভেটেরান্স ডে উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ডেলাওয়ারে পৌঁছালে তার উপস্থিতিতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন আন্দোলনকারীরা। তবে বিক্ষোভকারীদের পাশ কাটিয়ে প্রেসিডেন্টের মোটর শোভাযাত্রা প্রধান সড়ক ব্যবহার না করে অন্য পথে বাড়িতে প্রবেশ করেন।
এদিকে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ বন্ধে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে সরব দুটি সংগঠনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, জুইশ ভয়েস ফর পিস ও স্টুডেন্টস ফর জাস্টিস ইন প্যালেস্টাইনের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুদান থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে আর কোনো অনুষ্ঠানও আয়োজন করতে পারবে না এই দুটি ছাত্র সংগঠন।
অন্যদিকে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বর হামলার প্রতিবাদে উত্তপ্ত যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি। বিরোধী দল ছাড়াও ইসরাইলকে বিবেকশূন্য অন্ধ সমর্থনে নিজ দলেই ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস-এনওআরসি সেন্টার ফর পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের একটি জরিপে দেখা গেছে, ৫০ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বাইডেনকে সমর্থন করলেও ৪৬ শতাংশ তার নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোয় অনাস্থা জানিয়েছেন।
গাজায় ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ কেন্দ্র করে ডেমোক্র্যাটদের নীতিনির্ধারণী পর্যায়েও দেখা দিয়েছে গভীর বিভাজন। ৫০০ জনেরও বেশি বাইডেন সমর্থক প্রচারকর্মী গাজার পক্ষে কথা বলছেন। অনেকেই মনে করেছেন, বিষয়টি বাইডেনের পুনর্নির্বাচনের যাত্রাকে জটিল করে তুলবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: