যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ৬০ হাজার ই-মেইল চুরি করেছে চীনের হ্যাকাররা। এ বছরই মাইক্রোসফটের ই-মেইল প্ল্যাটফর্ম যারা হ্যাক করেছিল, তারাই এ কাজে জড়িত বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন মার্কিন সিনেটের এক কর্মকর্তা।
সিনেটর এরিক স্মিটের হয়ে কাজ করা এই কর্মকর্তা জানান, পররাষ্ট্র দপ্তরের ১০টি অ্যাকাউন্ট থেকে ৬০ হাজার ই-মেইল চুরি গেছে। এর মধ্যে ৯টি অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারী কর্মকর্তারা পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এবং একটি অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারী কাজ করেন ইউরোপে।
গত জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এবং মাইক্রোসফট বলেছিল, চীনা সরকারের সঙ্গে যুক্ত হ্যাকাররা মে মাস থেকে মার্কিন বাণিজ্য, পররাষ্ট্র দপ্তরসহ প্রায় ২৫টি সংস্থার ই-মেইল অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করেছে। বেইজিং এই অভিযোগ অস্বীকার করায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার উত্তেজনা সে সময় আরও বাড়ে।
বুধবারের ব্রিফিংয়ে বলা হয়, পররাষ্ট্র দপ্তরের যে ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্টে চীনা হ্যাকাররা প্রবেশ করেছে, তাদের বেশির ভাগই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কূটনীতির সঙ্গে যুক্ত। পররাষ্ট্র দপ্তরের সব ই-মেইলের তালিকাও চলে গেছে হ্যাকারদের হাতে।
বেশ কয়েকটি ভেন্ডর কোম্পানির সাহায্যে পররাষ্ট্র দপ্তরসহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলোর ক্ষেত্রে কয়েক স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সেটা কতটা কার্যকর, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে আইটি সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে মাইক্রোসফটের বিশাল ভূমিকার দিকে এ ঘটনার পর নতুন করে নজর যাচ্ছে। মাইক্রোসফটের একজন প্রকৌশলীর ডিভাইসের মাধ্যমেই চীনের হ্যাকাররা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ই-মেইল অ্যাকাউন্টগুলোয় প্রবেশের অনুমতি পায় বলে জানানো হয় ব্রিফিংয়ে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে মাইক্রোসফট জানায়, তাদের একজন প্রকৌশলীর করপোরেট অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার মাধ্যমেই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ই-মেইলগুলোতে প্রবেশ করতে পেরেছিল হ্যাকাররা। সিনেটর এরিক স্মিট তখন এক বিবৃতিতে বলেন, এ ধরনের সাইবার আক্রমণ এবং অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আরও কঠোর করতে হবে।
এই ব্রিফিংয়ের পর মাইক্রোসফটের মুখপাত্র তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেননি। নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে সমালোচিত মাইক্রোসফট এ ঘটনার পেছনে চীনের হ্যাকিং গ্রুপ 'স্টর্ম-০৫৫৮'-কে দায়ী করেছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: