রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ইউক্রেনকে সহায়তা হিসেবে বিতর্কিত ক্লাস্টার বোমা দেওয়া হবে, এমনটাই জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে অস্বস্তিতে পড়েছে পশ্চিমা মিত্ররা। কয়েকটি দেশ তাঁদের অস্বস্তির কথা জানিয়েও দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার নিশ্চিত করে যে তারা ইউক্রেনে বিতর্কিত অস্ত্র পাঠাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এটিকে ‘খুব কঠিন সিদ্ধান্ত’ বলে অভিহিত করেন।
প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাজ্য, কানাডা, নিউজিল্যান্ড এবং স্পেনের মতো ঘনিষ্ঠ মার্কিন মিত্র সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে তারা এই অস্ত্র ব্যবহারের ঘোর বিরোধী।
১০০টিরও বেশি দেশ ক্লাস্টার বোমা নিষিদ্ধ করেছে। কারণ এগুলো বেসামরিক মানুষের জন্য ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনে। এগুলোতে সাধাণরত অনেকগুলো ছোট বোমা থাকে, যেগুলো বিস্তৃত অঞ্চলে নির্বিচারে প্রাণ কেড়ে নিতে পারে। শুধু তাই-নয়, অবিস্ফোরিত বোমাগুলো বছরের পর বছর মাটিতে পড়ে থাকতে পারে। তারপর যে কোনও সময় বিস্ফোরিত হতে পারে।
মার্কিন সিদ্ধান্তের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, ‘যুক্তরাজ্য সেই ১২৩টি দেশের মধ্যে যারা ক্লাস্টার যুদ্ধাস্ত্রের কনভেনশনে সই করেছে। এটি অস্ত্র উৎপাদন বা ব্যবহার নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি এগুলোর ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করে।’
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স সুনাকের চেয়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে। তিনি বলেন, ‘অস্ত্রগুলো নিরপরাধ লোকদের ব্যাপক ক্ষতি করে। এগুলো দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবও ফেলতে পারে।’
হিপকিন্স বলেন, ‘ইউক্রেনে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারের বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডের আপত্তি সম্পর্কে হোয়াইট হাউসকে জানানো হয়েছে।’
স্পেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্গারিটা রোবেলস সাংবাদিকদের বলেছেন, এ ধরনের অস্ত্র এবং বোমা ইউক্রেনে পাঠানো যাবে না। চুক্তির বিষয়ে আমরা দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এদিকে কানাডিয়ান সরকার বলছে, শিশুদের ওপর বোমার সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে তারা বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন। কারণ এগুলো কখনও কখনও বহু বছর ধরে বিস্ফোরিত হয় না৷
কানাডা আরও বলেছে, ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারের বিরুদ্ধে তারা। দেশটি ক্লাস্টার যুদ্ধাস্ত্রের কনভেনশন সম্পূর্ণরূপে মেনে চলে।
যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন এবং রাশিয়া ওই চুক্তিতে সই করেনি। আর তাই মস্কো এবং কিয়েভ উভয়ই যুদ্ধের সময় ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করেছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: