ভাড়াটে যোদ্ধাদের সংগঠন ওয়াগনারের সঙ্গে লড়াইয়ের মধ্যেই ইউক্রেনে হামলা করেছে রাশিয়া। শনিবার ভোরে রুশ সেনাবাহিনী ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য দিয়েছে।
দেশটির ডিনিপ্রো শহরের মেয়র বরিস ফিলাটভ তার টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে বলেছেন, ‘রুশ হামলায় কয়েকটি বাড়ি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।
কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সের্হি পপকো বলেছেন, এ শহরের আশেপাশে নিয়োজিত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিয়েভের আকাশে ২০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত ও ধ্বংস করেছে।
তিনি জানান, ধ্বংসাবশেষ পড়ার ফলে একটি ২৪ তলা ভবনে আগুন লেগেছে এবং সাতজন আহত হয়েছে। এ সময় প্রায় ৪০টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আঞ্চলিক গভর্নর ওলেহ সিনেগুবভ বলেছেন, খারকিভ শহরে একটি গ্যাস পাইপলাইন ধ্বংস হয়ে গেছে, এতে আগুন লেগেছে কিন্তু কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, দেশটির উত্তরাঞ্চলের সুমি ও পোলতাভা শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে রাশিয়া।
অন্যদিকে ভাড়াটে যোদ্ধাদের সংগঠন ওয়াগনারের প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন সশস্ত্র বিদ্রোহে লিপ্ত হয়েছেন এই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে ক্রেমলিন।
প্রিগোঝিন ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি যেকোনো মূল্যে রাশিয়ান সেনাবাহিনীর নেতৃত্বের পতন ঘটাবেন। এরই মধ্যে তিনি ইউক্রেন থেকে সীমান্তের লাগোয়াবর্তী রাশিয়ার রোস্তভ অঞ্চলে প্রবেশ করেছেন এবং একটা রাশিয়ান হেলিকপ্টার ধ্বংস করেছেন বলে দাবি করছেন।
সূত্র : আল-জাজিরা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: