
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ বলেছেন, গাজা, লেবানন এবং সিরিয়ার কথিত বাফার জোনে (নিরাপদ অঞ্চল) অনির্দিষ্টকালের জন্য তাদের সেনা মোতায়েন থাকবে। এ পর্যন্ত যেসব এলাকা দখলে নেয়া হয়েছে সব অঞ্চলের কথা উল্লেখ করে এ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন স্কাই নিউজ।
এতে বলা হয়, মার্চে একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভঙ্গ করে গাজায় পুনরায় হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। এ সময়ের মধ্যে উপত্যকাটির অর্ধেকের বেশি জায়গা দখল করে নিয়েছে তারা। গত বছর হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পরও লেবাননের কিছু এলাকা থেকে নিজেদের দখলে ধরে রেখেছে।
সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদের পতনের পর সে দেশেরও একটি বাফার জোন দখলে নেয় তেল আবিব। গাজাসহ লেবানন ও সিরিয়ার দখলকৃত অঞ্চলে তাদের সৈন্য মোতায়েন রাখার কথা জানিয়েছেন কাৎজ। তার এই ঘোষণার ফলে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আলোচনা আরও কঠিন হয়ে যেতে পারে।
বুধবার প্রকাশিত বিবৃতিতে ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, অতীতের মতো ইসরাইলি সেনারা যেসব অঞ্চল দখল করেছে সেসব অঞ্চল থেকে সরে যাচ্ছে না। সেনাবাহিনী গাজা- একইসঙ্গে লেবানন এবং সিরিয়ার এসব নিরাপত্তা অঞ্চলে, যেগুলো ইসরায়েল এবং শত্রুদের অঞ্চল থেকে ইসরাইলি কমিউনিটিকে ভাগ করেছে, সেখানে অস্থায়ী অথবা স্থায়ীভাবে থাকবে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এমন বিবৃতির পর ইসরাইলি জিম্মিদের পরিবার একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে তারা বলেছেন, সরকার কথা দিয়েছিল জিম্মিরা সবার আগে মুক্তি পাবে। কিন্তু জিম্মিদের আগে ইসরাইল এখন ভূমি দখলকে প্রাধান্য দিচ্ছে। এই সমস্যার একমাত্র সমাধান হলো চুক্তির মাধ্যমে সব জিম্মিকে একসঙ্গে মুক্ত করে আনা। যদি এটি স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের মাধ্যমেও হয়।
বুধবার গাজায় ইসরায়েলিদের অবিরাম হামলা তীব্রতর হয়েছে, পুরো উপত্যকা জুড়ে ভারী বিমান হামলার মধ্যে একদিনে কমপক্ষে ২৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এদিকে লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন বলেছেন, দেশটির যেসব এলাকায় ইসরাইলি বাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে সেখানে যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুসারে লেবাননের সেনাবাহিনীর পূর্ণাঙ্গ মোতায়েন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। লেবাননের হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে গত বছর প্রবল হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে চার হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: