ইউরোপীয় ইউনিয়ন পাল্টা ২৫% শুল্ক আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৮ এপ্রিল ২০২৫ ২১:৫৭

ফাইল ছবি ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। জোটভুক্ত দেশগুলোর ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের প্রতিশোধ হিসেবে এই পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা। তবে নতুন শুল্কের আওতায় থাকছে না যুক্তরাষ্ট্রের বোরবন হুইস্কি। ইউরোপের মদকে মার্কিন প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ থেকে বাঁচাতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার এএফপির হাতে আসা একটি নথি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। ওই নথি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের যেসব পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করা হচ্ছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে সয়াবিন, পোলট্রি, চাল, ভুট্টা, ফল, বাদাম, কাঠ, মোটরসাইকেল, প্লাস্টিক, টেক্সটাইল পণ্য, চিত্রকর্ম, ইলেকট্রিক সরঞ্জাম ও সৌন্দর্যবর্ধক প্রসাধনীসামগ্রী। তবে ফ্রান্স ও ইতালির অনুরোধে এই তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত বোরবন হুইস্কি রাখা হয়নি।

ইউরোপের এই দুই দেশ মদের (ওয়াইন) বড় রপ্তানিকারক। ইউরোপের অ্যালকোহল পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকির পর বড় শঙ্কায় রয়েছে প্যারিস ও রোম। যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের এই তালিকা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যদেশগুলোর প্রতিনিধিদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (৯ এপ্রিল) এ নিয়ে ভোটাভুটি হবে। শেষ পর্যন্ত তা অনুমোদন পেলে আগামী মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে অধিকাংশ পণ্যের ওপর শুল্ক কার্যকর হবে। আর আমন্ডসহ (কাঠবাদাম) অন্য কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ শুরু হতে পারে ডিসেম্বরে। গত মাস থেকে ইউরোপের ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হয়েছে।

তার জবাবেই মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এ ছাড়া ২ এপ্রিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প। তবে এর বিপরীতে এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের হিসাবে, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের লক্ষ্যবস্তু হবে জোটের দেশগুলোর ২৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৫ শতাংশ শুল্ক আগামীকাল অনুমোদন পেলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা একই মূল্যের পণ্যের ওপর প্রভাব পড়বে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্যপ্রধান মারোস সেফকোভিক গতকাল সোমবার বলেন, ‘এটি ২৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি হবে না। কারণ, আমরা সদস্যদেশগুলোর কথা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিচ্ছি।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: