
সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে ইসরাইল তাদের অধিকাংশ কূটনৈতিক কর্মীদের সরিয়ে নিচ্ছে। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল (এনএসসি) উপসাগরীয় দেশটিতে ইসরাইলিদের জন্য ভ্রমণ সতর্কতা আপডেট করার পর এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত ইয়োসি আব্রাহাম শেলিকে দেশে ফিরিয়ে আনার পর ইসরাইল এই পদক্ষেপ নিয়েছে। এর আগে আরব আমিরাত জানিয়েছিল, একটি বারে ‘অসম্মানজনক’ আচরণের কারণে তাকে তারা আর গ্রহণ করতে রাজি নয়।
গত বৃহস্পতিবার ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল সতর্ক করে জানায়, আরব আমিরাতে ইহুদি ও ইসরাইলিদের ওপর হামলার চেষ্টা হতে পারে, বিশেষ করে শাব্বাত ও ইহুদিধর্মীয় ছুটির সময়ে।
পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়ের তত্ত্বাবধানকারী এই কাউন্সিল জানায়, জুনে ইরানে সাথে ইসরাইলের ১২ দিনের হামলার জেরে ‘পাল্টা আক্রমণের আশঙ্কা’ এবং গাজায় চলমান সামরিক অভিযানের কারণে বৈশ্বিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় এ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অনেক দেশ ও মানবাধিকার সংস্থা গাজায় ইসরাইলের হামলাকে গণহত্যা হিসাবে আখ্যায়িত করেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০২০ সালে ইসরাইলের সাথে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। ১৯৭৯ সালে মিসর এবং ১৯৯৪ সালে জর্ডানের পর তৃতীয় আরব দেশ হিসেবে আরব আমিরাত এই পদক্ষেপ নেয়। ২০২২ সালে দুই দেশ একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিও স্বাক্ষর করে। ২০২২ সালের জুন থেকে দুবাই ও তেল আবিবের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করছে আরব আমিরাত এবং দুই দেশের মধ্যে পর্যটন ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইসরাইলি কর্মকর্তারা বরাবরই বলে আসছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরাইলিদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ স্থানগুলোর মধ্যে একটি। তবে চলতি বছরের মার্চে আরব আমিরাতে এক ইসরাইলি-মলদোভান রাবি জিভি কোগানকে হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় দেশটির একটি আদালত। সর্বশেষ এনএসসির সতর্কতা ইঙ্গিত দিচ্ছে, দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: