প্রতিবেদেনে বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধে আরও বেশি প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখতে পারবে ন্যাটো। তবে আগামী মাসে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পর তা কতটা ফলপ্রসূ হবে, সেটা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
ইউক্রেনকে দেওয়া সামরিক সহায়তা সমন্বয়ের দায়িত্ব অনেক আগেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ন্যাটোর কাছে হস্তান্তরের পরিকল্পনা ছিল। এ-সংক্রান্ত ন্যাটোর মিশন জার্মানির উইসবাডেন শহরের মার্কিন ঘাঁটি ক্লে ব্যারাকসে অবস্থিত। মিশনটির আনুষ্ঠানিক নাম ন্যাটো সিকিউরিটি অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যান্ড ট্রেনিং ফর ইউক্রেন তথা নেসাতু। কিয়েভকে দেওয়া সামরিক সহায়তা সমন্বয়ের দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়টি বেলজিয়ামে অবস্থিত ন্যাটোর সদর দপ্তর সুপ্রিম হেডকোয়ার্টার অ্যালাইড পাওয়ারস ইউরোপ তথা শেপ নিশ্চিত করেছে।
শেপ জানায়, তারা যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নিতে শুরু করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তা ও সুপ্রিম অ্যালাইড কমান্ডার ইউরোপ জেনারেল ক্রিস্টোফার জি ক্যাভোলি জানান, ইউক্রেনকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে রাখার পরিকল্পনা থেকেই নেসাতু গঠন করা হয়েছে। নেসাতুর কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের আগপর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন প্রায় ৫০টি দেশের একটি এডহক জোট ইউক্রেনের সামরিক সহায়তা সমন্বয় করত, যা রামস্টেইন গ্রুপ নামে পরিচিত।
রামস্টেইন জার্মানিতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের বিমানঘাঁটি। এই সামরিক ঘাঁটিতেই ইউক্রেনকে সহায়তাকারী অনানুষ্ঠানিক জোটের প্রথম বৈঠক হয়েছিল।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: