ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে চাপের মুখে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি!

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৭ নভেম্বর ২০২৪ ২১:৩৩

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তন ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির রক্ষণশীল আইনপ্রণেতা আহমেদ নাদেরি। ট্রাম্পের বিজয়ের সম্ভাবনার প্রেক্ষিতে তিনি ইরানের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেন, ২০২০ সালে কুদস ফোর্স কমান্ডার কাশেম সোলেইমানির হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ট্রাম্পের সঙ্গে ইরানের দ্বন্দ্ব তুঙ্গে। ইরানি কর্মকর্তাদের মধ্যে ট্রাম্পের প্রতি আগে থেকেই কঠোর অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।

২০১৯ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মাধ্যমে ট্রাম্পের কাছে বার্তা পাঠানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন, ‘আমি ট্রাম্পকে কোনো বার্তা বিনিময়ের যোগ্য মনে করি না এবং আমার কাছে এখন তার জন্য কোনো বার্তা নেই, ভবিষ্যতেও থাকবে না।’

সাবেক প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিসহ মধ্যপন্থী নেতারাও ইরানের অর্থনৈতিক সমস্যার জন্য ট্রাম্পকে দায়ী করেছেন। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পাশাপাশি ট্রাম্প তেহরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি, আঞ্চলিক প্রক্সি যুদ্ধ এবং মধ্যপ্রাচ্যের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থনের অভিযোগে ইরানের প্রতি ট্রাম্পের কোনো ছাড় দেওয়ার নীতি ছিল না।

তবে তেহরান-ভিত্তিক সাংবাদিক মরিয়ম শোকরানি মনে করেন, ইরানের দরিদ্র ও মধ্যবিত্তদের দুর্দশার জন্য দেশটির অভ্যন্তরীণ নীতিই দায়ী। তিনি বলেন, "অন্য দেশের প্রেসিডেন্টদের দোষারোপ করে সময় নষ্ট করবেন না।"

ইরান ইন্টারন্যাশনাল টিভির ইরান বিশ্লেষক মোর্তেজা কাজেমিয়ান বলেন, সোলেইমানিকে হত্যার জন্য ট্রাম্প গর্ববোধ করেছিলেন। এখন ট্রাম্পের সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তন ইরানের বর্তমান নেতৃত্বের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প ইরান ও ইসরায়েলের সামনে নতুন খোলোয়াড় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। ট্রাম্প ও পুতিনের ঘনিষ্ঠতার কারণে ইরান রাশিয়ার ওপর আগের মতো নির্ভর করতে পারবে না।

ইরান বিষয়ক বিশ্লেষক হোসেইন বাস্তানি এক্স (টুইটার)-এ লিখেছেন, আগামী দশ সপ্তাহের মধ্যে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরানকে কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ট্রাম্পের সঙ্গে যেকোনো সংঘাত এড়াতে তেহরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করার ব্যাপারেও ভাবতে হতে পারে।

 

সূত্র: ইরান ইন্টারন্যাশনাল



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: