ইসরাইলকে নিয়ে বিবিসির ‘পক্ষপাতমূলক’ খবর, সমালোচনায় প্রতিষ্ঠানটির শতাধিক সাংবাদিক

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:০৮

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি


গাজা যুদ্ধের প্রতিবেদনে ইসরাইলকে নিয়ে পক্ষপাতমূলক খবর প্রচারের অভিযোগ তুলেছে বিভিন্ন পেশায় যুক্ত ২৩০ জনেরও বেশি ব্যক্তি। যেখানে কেবল ১০০ জনেরও বেশি বিবিসির কর্মী। এক চিঠিতে তারা বিবিসিকে ‘ন্যায্যতা, নির্ভুলতা এবং নিরপেক্ষতার’ প্রতি পুনরায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

৩ নভেম্বর, রোববার এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।

বিবিসি মহাপরিচালক টিম ডেভির কাছে পাঠানো চিঠিতে ২৩০ জনেরও বেশি সদস্য স্বাক্ষর করেছেন। যার মধ্যে ১০১ জন বেনামী বিবিসি কর্মী। মিডিয়া সংস্থার সাংবাদিকদের পাশাপাশি ইতিহাসবিদ, অভিনেতা, শিক্ষাবিদ এবং রাজনীতিবিদরাও এই চিঠিতে সাক্ষর করেছেন। শুক্রবার দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে গাজার সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য এবং নির্ভুল প্রমাণ-ভিত্তিক সাংবাদিকতার অভাবের বিবিসির সম্পাদকীয় মানকে ব্যর্থ বলে সমালোচনা করা হয়।

এতে আরো বলা হয়, ‘আমরা বিবিসিকে ভয় বা পক্ষপাত ছাড়াই প্রতিবেদন তৈরি এবং সর্বোচ্চ সম্পাদকীয় মানদণ্ডে পুনরায় প্রতিশ্রুতি দেওয়ার আহ্বান জানায়। একইসঙ্গে ন্যায্যতা, নির্ভুলতা এবং যথাযথ নিরপেক্ষতার উপর জাের দিতে হবে’।

‘অপ্রতুল তথ্য নিয়ে সংবাদ পরিবেশনের পরিণতি ভয়ংকর। বিবিসির অনেক প্রতিবেদন, নিবন্ধ এবং সাক্ষাত্কার যা ইসরাইলের দাবিকে শক্তিশালীভাবে চ্যালেঞ্জ করতে ব্যর্থ হয়েছে। যা পদ্ধতিগতভাবে ফিলিস্তিনিদের প্রতি অমানবিক আচরণ’।

অবশ্য বিবিসি দাবিগুলো অস্বীকার করেছে। ব্রিটিশভিত্তিক বার্তাসংস্থাটি বলছে,‘তারা সবচেয়ে বিশ্বস্ত এবং নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনের জন্য দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করে’।

একজন মুখপাত্র বলেন, ‘যখন আমরা ভুল করি বা প্রতিবেদন করার পদ্ধতিতে পরিবর্তন করি, তখন আমরা স্বচ্ছ থাকি। আমাদের শ্রোতাদের কাছে আমাদের প্রতিবেদনের সীমাবদ্ধতার বিষয়েও আমরা খুব স্পষ্ট। গাজা এবং লেবাননের কিছু অংশে প্রবেশের অভাব এবং সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ওইসব এলাকায় সাংবাদিকদের পাঠাতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত’।

বিবিসি অন্যান্য ব্রিটিশ সংবাদসংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে, যেসব প্রতিষ্ঠান গাজাভিত্তিক খবর প্রচারের জন্য গত এক বছরে সমালোচিত হয়েছে।

দ্য ইনডিপেনডেন্টের মতে, তালিকায় অন্যান্য স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছে ইতিহাসবিদ উইলিয়াম ডালরিম্পল, ক্যাথরিন হ্যাপার, সমাজবিজ্ঞানের সিনিয়র লেকচারার এবং গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া ডিরেক্টর, রিজওয়ানা হামিদ, সেন্টার ফর মিডিয়া মনিটরিংয়ের পরিচালক এবং সম্প্রচারকারী জন নিকলসন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: