একদিকে, প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতে, অন্যদিকে, তাপপ্রবাহ চলছে বিহার, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডে। এই পরিস্থিতিতে তীব্র গরমে গত ৩৬ ঘণ্টায় ৩টি রাজ্যে মৃত্যু হলো ২২ জনের।
এর মধ্যে ওড়িশায় মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। রাজ্যটিতে ৭ ঘণ্টার মধ্যে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে আবার ৬ জন হলেন নারী। জানা যাচ্ছে, হিটস্ট্রোকে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
তাপপ্রবাহের কারণে বিহারে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৯ জনের এবং ঝাড়খণ্ডে গত ৩৬ ঘণ্টায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওড়িশার সবকটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে রাউরকেলা সরকারি হাসপাতালে।
৩০ মে, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে মৃত্যু হয়েয়ে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছেছে, রাউরকেলায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৃতদের বয়স ছিল ২৩ থের ৭০ বছরের মধ্যে। এর মধ্যে ২ জন চিকিৎসা চলাকালীন মারা যায়।
বিহারে বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখানে মৃতদের মধ্যে পাঁচজন ছিলেন ভোটকর্মী। ভোজপুর থেকে আরো চারটি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া, বক্সার, রোহতাস, আরওয়াল, বেগুসরাই এবং পাটনায় একজন করে মারা গেছেন।
ভোজপুরের জেলাশাসক মহেন্দ্র কুমার জানান, তিনজন ভোটকর্মী- সঞ্জয় কুমার, রাজেশ রাম ও মহম্মদ ইয়াসিন এবং হেম নারায়ণ সিং নামে একজন হোম গার্ড হিটস্ট্রোকের কারণে মারা গেছেন। হোম গার্ড আচমকা অচেতন হয়ে পড়েন। তাকে সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। তবে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। সেখানে তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, পাটনায় সঞ্জয় কিশোর শরণ নামে আরো একজন ভোটকর্মী হিটস্ট্রোকে মারা যান।
বক্সার জেলায় হিটস্ট্রোকের কারণে একজন পোলিং অফিসার মারা গেছেন। এছাড়াও নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা আরো ৪ কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন। মৃতের নাম নগেন্দ্র সিং (৫০)। তিনি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। অসুস্থদের মধ্যে দু’জনকে পাটনায় রেফার করা হয়েছে। এছাড়া ভোজপুর জেলার সাব-ইন্সপেক্টর দেবনাথ রাম রোহতাস জেলার দেহরিতে হিটস্ট্রোকে মারা যান।
অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ডের ডাল্টনগঞ্জে এক শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়। তাদের নাম হলো- সন্দীপ সাও (৯), রেলকর্মী মুকেশ মীনা (৩২) এবং শান্তা দেবী (৩০)।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ডালটনগঞ্জের তাপমাত্রা ছিল ৪৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বুধবার ৪৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: