ইরাক, ইরান ও পাকিস্তানকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক। বিশেষ করে ইরান এবং পাকিস্তান একে অপরের অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা করার পর এই আহ্বান জানানো হয়েছে।
১৮ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, 'ইরাকের নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে ইরানের হামলার ফলে শুরু হওয়া ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে আঙ্কারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই উত্তেজনা পাকিস্তানে ইরানের হামলার মধ্য দিয়ে প্রসারিত হয়েছে। আজ সকালে ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে পাকিস্তানের হামলার মাধ্যমে আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।'
তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সকল পক্ষের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা, বন্ধুত্ব, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং বিশেষ করে জাতিসংঘের সনদের ভিত্তিতে সমস্যা সমাধানের জন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আঙ্কারা এই অঞ্চলে বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানে অবদান রাখতে প্রস্তুত।
বৃহস্পতিবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান জর্ডানের রাজধানী আম্মানে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, 'তুরস্ক চায় না ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হোক।'
ফিদান জানিয়েছেন, ইরান এবং পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শান্ত করার জন্য তাদের পরামর্শ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বলেছে, ড্রোন, রকেট এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইরানে নির্ভুল হামলা চালানো হয়েছে। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি এবং বেলুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্টকে লক্ষ্য করে এই হামলা করা হয়েছে।
এর আগে ১৬ জানুয়ারি, মঙ্গলবার পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের একটি এলাকায় হামলা করেছিল ইরান। এর ফলে দুই শিশু নিহত হয়েছিল বলে জানিয়েছে পাকিস্তান। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ আল আদলের দুটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে।
অপরদিকে ১৫ জানুয়ারি, সোমবার গভীর রাতে ইরাকের আধা স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি অঞ্চলে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদর দপ্তর লক্ষ্য করেও হামলা চালিয়েছিল ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিল ইরাকি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সূত্র: ডেইলি সাবাহ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: