ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের (আইওআর) দেশগুলোর সাথে অংশীদারিত্ব সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে চীন। দেশটি বলছে, এর মাধ্যমে সাগরভিত্তিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী তারা। তবে এর মাধ্যমে সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন, সাগরের প্রতিবেশ অস্থিতিশীল করা এবং সামরিক উদ্দেশ্যে গভীর সাগরে অনুসন্ধান চালানোর মতো সহজাত ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে বলে অনেক দেশ মনে করছে।
সম্প্রতি বেইজিং ইন্ডিয়ান ওশান রেজিয়ন ফোরামের দ্বিতীয় সম্মেলন আয়োজন করে। এর ঘোষিত লক্ষ্য ছিল সামদ্রিক সহযোগিতা গভীর করা, সহযোগিতার বন্ধন জোরদার করা এবং টেকসই উন্নয়নের বিকাশ ঘটানো।
তবে আইওআর অঞ্চলের দেশগুলোর এ নিয়ে উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কারণ গভীরতর সহযোগিতার অর্থ হলো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করা, কৌশলগত এলাকায় যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা। অথচ এই অঞ্চলের বেশির ভাগ দেশের সাথে চীনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। চীন দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় ৯০ ভাগ নিজের বলে দাবি করে। ফলে ছোট দেশগুলো বেশ সমস্যায় পড়ে গেছে। চীনের নৌবাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতির ফলে তারা তাদের দাবি করা এলাকায় সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ করতে সমস্যায় পড়ছে, এমনকি মাছ ধরতে পর্যন্ত সমস্যা পড়ছে।
এশিয়ান দেশগুলো দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আধিপত্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে শুরু করেছে। ফিলিপাইন বলছে, বেইজিং ছোট শিশুদের মতো ঝগড়া করছে।
আবার এশিয়ায় চীনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আইওআর সম্মেলনকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখছে। ওই সম্মেলনে ভারতকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আইওআরে ভারতের প্রধান বাণিজ্য রুটের ওপর দিল্লির নিয়ন্ত্রণ থাকায় চীনের অর্থনৈতিক উচ্চাভিলাষের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে।
দক্ষিণ চীন সাগরে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য বেইজিং চেষ্টা করে যাচ্ছে। এই লক্ষ্যে তারা সেখানে সামরিক ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করছে। এতে করে আইওআরভুক্ত দেশগুলো বড় সমস্যায় পড়তে পারে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: