বিদেশি নাগরিকসহ মোট ১৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ভিয়েতনাম। মাদক চোরাচালান ও পাচারের অভিযোগে এই সাজা দেওয়া হয়েছে বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম শনিবার গভীর রাতে জানিয়েছে।
গণমাধ্যমটি বলেছে, হো চি মিন শহরে চার দিনের শুনানি শেষে এ রায় দেওয়া হয়। রায়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা কিম সুন-সিক (৩০) ও কাং সিওন-হুককে (৩০) এবং চীনা নাগরিক লি তিয়ান গুয়ান (৫৮) ও কথিত ভিয়েতনামি লে হো ভুকে (৩৬) মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে ভিয়েতনামের আরো ১৪ জনকে। একই মামলায় আরো তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অপ্রাপ্তবয়স্ক একজনকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কং এন নান ড্যান জানিয়েছে, ২০২০ সালের মে থেকে জুন পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া দলটি ২১৬ কেজিরও বেশি মাদক মজুদ, পাচার ও বিক্রি করেছে।
জব্দ করা হয়েছে ১৬৮ কেজিরও বেশি মাদক। গত ১৯ জুলাই হো চিন মিনে পুলিশ দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঠানোর সময় একটি কনটেইনার তল্লাশি করে। এ সময় ৪০টি প্লাস্টিক ব্যাগে ক্রিস্টাল ও ৩৯.৫ কেজি মেথাফেটামাইন জব্দ করা হয়।
কমিউনিস্ট দেশ ভিয়েতনামে বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন মাদক আইন এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিষয়ে কুখ্যাতভাবে গোপনীয়তাও রয়েছে।
ভিয়েতনামের আইন অনুসারে, যে কেউ ৬০০ গ্রামের বেশি হেরোইন বা ২.৫ কেজির বেশি মেথামফেটামিন নিয়ে ধরা পড়লে তার মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। তবে এ মৃত্যুদণ্ড কবে কার্যকর করা হবে তার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি দেশটি।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, ভিয়েতনামের আদালতগুলো নিয়মিত মাদক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ব্যাপারে দেশটি বিশ্বব্যাপী একটি নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে। ভিয়েতনামি কর্তৃপক্ষ ২০১৭ সালে কিছু তথ্য প্রকাশ করেছিল।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছিল, ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে দেশটিতে ৪২৯ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: