স্থানীয় সময় সোমবার এবিসি নিউজকে সাক্ষাৎকার দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেন ইয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত
গাজায় নিরাপত্তার কথা শুনিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেন ইয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য গাজার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ইসরায়েল।’ মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথার মধ্য দিয়ে প্রকৃতপক্ষে তিনি কী বোঝাতে চাইলেন, বিশ্লেষকদের কাছে সেটি স্পষ্ট নয়। অনুমান করা যায়, এর মাধ্যমে নেতানিয়াহু গাজা ‘দখলের’ হুঁশিয়ারিই দিলেন।
এর আগে ‘নিরাপত্তার দায়িত্ব’ শব্দ চয়ন করেই ইসরায়েল পশ্চিম তীর দখলে নিয়েছে। গাজার ভাগ্যেও কি ঘটতে চলেছে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি? এমনই প্রশ্ন তুলেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
গাজায় ১ মাসে নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ১০ হাজারগাজায় ১ মাসে নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ১০ হাজার
১৯৯০ সালে স্বাক্ষরিত অসলো চুক্তি অনুযায়ী পশ্চিম তীরের নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলের পৌরসভার দায়িত্বে থাকবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ইসরায়েল।
মধ্যপ্রাচ্যকে ‘বড় যুদ্ধের’ দিকে ঠেলে দিচ্ছে পশ্চিমারামধ্যপ্রাচ্যকে ‘বড় যুদ্ধের’ দিকে ঠেলে দিচ্ছে পশ্চিমারা
অন্যভাবে বলা যায়, নিরাপত্তার দায়িত্বের মাধ্যমে গাজায়- ইচ্ছেমতো ইসরায়েলিরা প্রবেশ করতে পারবে। এর মাধ্যমে সেখানে আইন ও শাসন প্রতিষ্ঠা করবে তারা। অপরদিকে স্কুল চালানো, ময়লা পরিস্কার করা- যেগুলো পৌরসভার দায়িত্ব- সেগুলো করবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
তবে গাজায় নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হলে- সেখানে এমন একটি ফিলিস্তিনি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যেটি ইসরায়েলের সঙ্গে কাজ করবে।
ইসরায়েল থেকে সব কূটনীতিক প্রত্যাহার দক্ষিণ আফ্রিকারইসরায়েল থেকে সব কূটনীতিক প্রত্যাহার দক্ষিণ আফ্রিকার
বর্তমানে গাজায় যা হচ্ছে, এরপরও যদি সেখানে কেউ সরকার গঠন করে ও ইসরায়েলিদের সঙ্গে কাজ করে তাহলে বিষয়টি সেখানকার মানুষ দেশদ্রোহিতা হিসেবে বিবেচনা করবেন।
বিবিসির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জেমেরি বাউন বলেন, ‘ধারণা করা যাচ্ছে, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকার মাধ্যমে ইসরায়েল গাজায় দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করবে।’
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে সেদিন থেকেই ইসরায়েলের বিমান বাহিনী গাজায় অভিযান শুরু করে। সেই অভিযানের সমাপ্তি এখনও হয়নি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: