শস্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা : ৩ দেশের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের মামলা

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৫:২৪

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি


ইউক্রেন থেকে শস্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় তিন দেশের ওপর মামলা করেছে দেশটি। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) কাছে দেশটির পক্ষ থেকে এ মামলা করা হয়েছে। দেশ তিনটি হলো স্লোভাকিয়া, পোলান্ড ও হাঙ্গেরি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক নীতির লঙ্ঘনের অভিযোগ করে ইউক্রেন এ মামলা করেছে। এর আগে গত শুক্রবার এ তিন দেশ রাশিয়ার শস্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। দেশগুলোর দাবি, সস্তা দামে শস্য আমদানি থেকে কৃষকদের রক্ষা করতে এমন নিষেধাজ্ঞার দরকার ছিল।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায় রাশিয়া। ফলে কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হয়। দেশটি বিকল্প হিসেবে স্থলপথের বিভিন্ন রুট দিয়ে শস্য রপ্তানি করে আসছে। এর ফলে সেন্ট্রাল ইউরোপের বাজারে প্রচুর পরিমাণে ইউক্রেনের শস্য ঢুকতে থাকে। কৃষকদের অভিযোগ, ইউক্রেনের এমন চালানের কারণে স্থানীয় বাজার সংকুচিত হয়ে গেছে। এতে করে ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। এ জন্য তারা প্রতিবাদ ও র‌্যালিও করেছেন।

কৃষকদের এমন চাপের মুখে চলতি বছরের শুরুতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ব্লকের ২৭ দেশ ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শস্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। তবে এ মেয়াদোত্তীর্ণ হলে তা আর বাড়ায়নি ইউনিয়ন। অন্যদিকে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে পৃথকভাবে নিষেধাজ্ঞা দেয় তিন দেশ।

এ নিয়ে সোমবার ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া স্ভিরিডেনকো প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এটি আমাদের জন্য প্রমাণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে ইইউ ব্লকের কোনো দেশ পৃথকভাবে ইউক্রেনের শস্যপণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে না। এ জন্য আমরা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কাছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।

তিনি বলেন, একতরফা এমন নিষেধাজ্ঞার কারণে ইউক্রেন ইতোমধ্যে অনেক ভুগেছে এবং সামনে আরও দুর্ভোগ বাড়াবে। এর ফলে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন রপ্তানিকারকেরা।

এর আগে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্য কমিশনার ভালদিস ডমব্রোভস্কিস শুক্রবার বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর উচিত ইউক্রেনীয় শস্য আমদানির বিরুদ্ধে একতরফা পদক্ষেপ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা।’ কিন্তু পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরি সেই আহ্বান না মেনে ইউক্রেনীয় শস্য আমদানিতে তাদের নিজস্ব বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। দেশগুলো নিজেরা নিষেধাজ্ঞা দিলেও তাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করে পণ্য পরিবহন করতে পারবে ইউক্রেন।


সূত্র : ইউরোনিউজ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: