আবারও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে ইউরোপীয় দেশগুলোর অর্থনীতি। নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে মুদ্রাস্ফীতি। ইউরো মুদ্রা ব্যবহার করে এমন ২০টি দেশের জিডিপি ০.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ৩১ জুলাই, সোমবার প্রকাশিত অফিসিয়াল তথ্য এমন সুখবরই দিয়েছে।
সিএনএন-এর রিপোর্টে বলা হয়, ২০২২ সালের সর্বশেষ তিন মাসে ইউরো অঞ্চলের জিডিপি ০.১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল। এরপর এমন মন্দা অবস্থা বিরাজ করছিল এতদিন পর্যন্ত। তবে এখন ক্রমশ ভাল করছে ইউরোপের অর্থনীতি। মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে গোটা মহাদেশজুড়েই।
মূলত রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চরম সংকটে পড়েছিল ইউরোপীয় দেশগুলো। জ্বালানীর দাম আকাশ ছোঁয়ায় এর প্রভাব পড়ে অন্য সব পণ্যেও। বেড়ে যায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি দেখা যায় বৃটেন, জার্মানি ও ফ্রান্সের মতো দেশগুলোতে।
তবে সাম্প্রতিক ডাটা বলছে, দেশগুলো অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সফল হচ্ছে।
এ নিয়ে বেরেনবার্গের প্রধান অর্থনীতিবিদ হোলগার স্মিডিং বলেন, ‘পুতিন শক’ শেষ হয়ে গেছে। জ্বালানী ও খাবারের অত্যাধিক দাম মানুষকে এখনও ভোগাচ্ছে। কিন্তু মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পাওয়া ভালো লক্ষণ। তাছাড়া বেকারত্বও কমে আসছে, বেতন বাড়ছে। অর্থনীতিবিদরা যতটা আশা করেছিলেন, তার থেকেও ভাল করছে ফ্রান্স ও জার্মানির অর্থনীতি।
এদিকে বৃহস্পতিবার সুদের হার বাড়িয়ে ৩.৭৫ শতাংশ করেছে ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক (ইসিবি)। এ নিয়ে একটানা ৯ম বারের মতো সুদের হার বৃদ্ধি করা হলো। তবে ইসিবি প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে, সুদের হার বৃদ্ধি আপাতত থামানোর চেষ্টা করছেন তিনি।
২০২২ সালের অক্টোবরে পণ্যের দামে ১০.৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতি দেখেছিল ইউরোপ। সেটি এখন অনেকটাই কমে এসেছে। তবে ইসিবি’র টার্গেট দুই শতাংশ থেকে অনেক উপরেই রয়ে গেছে এই মূল্যস্ফীতি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: