উত্তর কোরিয়ার 'পারমাণবিক শক্তিচালিত' সাবমেরিনের প্রথম ছবি প্রকাশ

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০:১১

ছবি : সংগৃহীত ছবি : সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো ‘পারমাণবিক শক্তিচালিত’ সাবমেরিনের ছবি প্রকাশ করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, নেতা কিম জং উন একটি বিশাল গাইডেড-মিসাইল সাবমেরিন পরিদর্শন করছেন। সাবমেরিনটি একটি অভ্যন্তরীণ নির্মাণ স্থাপনায় রাখা হয়েছে, যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে—এটি এখনো পানিতে নামানো হয়নি।

বৃহস্পতিবার এক নিউজ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার দাবি অনুযায়ী, সাবমেরিনটির ওজন বা ডিসপ্লেসমেন্ট প্রায় ৮,৭০০ টন, যা মার্কিন নৌবাহিনীর ভার্জিনিয়া শ্রেণির পারমাণবিক শক্তিচালিত আক্রমণ সাবমেরিনগুলোর সমতুল্য। চলতি বছরের মার্চে প্রথমবার এই সাবমেরিনের অস্তিত্বের কথা জানানো হয়েছিল।

পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন নির্মাণ কিম জং উনের দীর্ঘদিনের লক্ষ্য। তিনি ২০২১ সালে ক্ষমতাসীন দলের কংগ্রেসে প্রথম এ পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করেন। বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ কোরিয়াকে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরির অনুমতি দেওয়ায় পিয়ংইয়ংয়ের এই কর্মসূচিতে নতুন করে গতি এসেছে।

পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিনের বড় সুবিধা হলো—এগুলো দীর্ঘ সময় পানির নিচে থাকতে পারে, বেশি গতিসম্পন্ন এবং অনেক ক্ষেত্রে প্রচলিত ডিজেলচালিত সাবমেরিনের তুলনায় কম শব্দ সৃষ্টি করে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও ভারত এই প্রযুক্তির অধিকারী।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানায়, কিম জং উন বলেছেন, দেশের প্রতিরক্ষা নীতি ‘সবচেয়ে শক্তিশালী আক্রমণাত্মক ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে’ গড়ে তোলা হয়েছে। তার মতে, জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শক্তিশালী আক্রমণাত্মক সামর্থ্যই সবচেয়ে কার্যকর ঢাল।

কিম দক্ষিণ কোরিয়ার পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণ উদ্যোগকে উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেন এবং একে মোকাবিলার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।

২০২১ সালে ঘোষিত পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে উত্তর কোরিয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, হাইপারসনিক গ্লাইড যান, নতুন গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার এবং পারমাণবিক সাবমেরিনসহ নানা আধুনিক অস্ত্র ব্যবস্থা উন্নয়নে জোর দিচ্ছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: