বাণিজ্য আলোচনার মাঝে ভিন্ন পথে ট্রাম্প, ৬ লাখ চীনা শিক্ষার্থীকে দিচ্ছেন ভিসা

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:০৮

ফাইল ছবি ফাইল ছবি

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের ৬ লাখ শিক্ষার্থীকে ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। এ সিদ্ধান্তের কারণে ব্যাপক তোপের মুখেও পড়েছেন তিনি। তবে সমর্থকদের একটি অংশের তীব্র সমালোচনার পরও তিনি নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন।

গত রোববার একটি সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা না দেওয়া ‘অপমানজনক’ হবে। তিনি আরও জানান, এ পদক্ষেপ ছোট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপকারে আসবে। কয়েক মাস ধরে তাঁর প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকলেও চীনের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনার মাঝে এবার ট্রাম্প ভিন্ন পথে হাঁটলেন।

ট্রাম্পের রিপাবলিকান দলের মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন বা মাগা শিবিরের কিছু মিত্র এতে ক্ষুব্ধ ও হতবাক। ফক্স নিউজের সঞ্চালক লরা ইনগ্রাহাম বলেন, ‘আমি কিছুতেই এটা বুঝতে পারছি না। এই ৬ লাখ আসন আমেরিকান শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে না।’ এক্সে ট্রাম্পপন্থী লরা লুমার লিখেছেন, ‘কেউই, আমি আবারও বলছি—কেউই ৬ লাখ চীনা শিক্ষার্থী চায় না। তাঁরা আসলে কমিউনিস্ট গুপ্তচর।’

ট্রাম্প পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলেছেন, চীনা শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে অর্থ নিয়ে আসেন। তাঁদের ভিসা বন্ধ করলে দুই দেশের সম্পর্ক দুর্বল হবে। তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট সির সম্পর্ক খুব ভালো। আমি মনে করি, কোনো দেশের শিক্ষার্থীকে না নেওয়া তাঁদের জন্য অপমানজনক...আপনারা জানেন, আমি চীনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখি। তারা আমাদের অনেক অর্থ দিচ্ছে এখন। শত শত কোটি ডলার দিচ্ছে।’

গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ঘোষণা করেছিলেন, তিনি চীনা ভিসা ‘জরুরি ভিত্তিতে’ বাতিল করবেন, বিশেষ করে, যাঁদের সঙ্গে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির যোগসূত্র রয়েছে বা গুরুত্বপূর্ণ খাতে পড়াশোনা করছেন। ওই সময় থেকে ওয়াশিংটন ও বেইজিং সম্পর্ক অবনতির দিকে যায়। এর মূল কারণ ছিল—ট্রাম্পের শুল্ক আরোপকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বাণিজ্যযুদ্ধ। যদিও বর্তমানে দুই দেশ শুল্কবিরতিতে রয়েছে।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আগামী দুই বছরে ওই ৬ লাখ শিক্ষার্থীকে ভিসা দেওয়া হবে। এটি আসলে আগের বছরগুলোর ভিসাসংখ্যার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে ট্রাম্প দাবি করেছেন, শিক্ষার্থী ভিসা দেওয়ার বিনিময়ে তিনি কিছু প্রত্যাশা করছেন না। তিনি বলেন, ‘না, আমি শুধু মনে করি, আমরা যেটা করছি, সেটাই সঠিক কাজ। দেশগুলোর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখা ভালো, খারাপ নয়। বিশেষ করে, পরমাণু শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: