নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে ট্রাম্পের তথ্য বাইডেনকে পাচার করেছিল ইরান!

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:১৮

ফাইল ছবি ফাইল ছবি

নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। এরই মধ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাওয়া রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি নির্বাচনী প্রচারণার তথ্য চুরির শিকার হলেন। ইরানের হ্যাকাররা চুরি করা এসব তথ্য পাচার করেছে ডেমোক্রেটিক পার্টির সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেনের নির্বাচনী প্রচারকর্মীদের কাছে, এমনটাই দাবি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইসহ আরও দুটি সংস্থার।

১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার  এফবিআই, সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি এবং ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের কার্যালয় এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিটিতে জানানো হয়, ট্রাম্প শিবিরের এসব তথ্য চুরির ঘটনা ঘটেছে গত জুন মাসের শেষ থেকে। জুলাই মাসের প্রথম দিক পর্যন্ত এসব তথ্য হ্যাকারের দলটি পাঠিয়েছিল বাইডেনের নির্বাচনী প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত কিছু ব্যক্তির কাছে। তবে এসব ইমেইল যারা পেয়েছিলেন তারা হ্যাকারদের উত্তর দিয়েছিলেন কিনা, সেই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

একটি আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা জানায়, এর আগেও ইরানের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তেহরান সবসময় বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা জানান, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ইরানের বিভিন্ন গোপন কার্যক্রম।

আরেক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রার্থিতাকে অবমূল্যায়ন করতে কাজ শুরু করেছে ইরান। এ লক্ষ্যে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন গোপন কার্যক্রম শুরু করেছে। এ ছাড়া তেহরানের মদদে ভোটারদের মধ্যে ট্রাম্পবিরোধী মনোভাব গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপও হাতে নিয়েছে ইরান। মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনের সম্ভাব্য হুমকি নিয়ে হালনাগাদকৃত এ পর্যালোচনায় এমনটা জানান।

যুক্তরাষ্ট্রের অফিস অব দ্য ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টিলিজেন্স তথা ও-ডি-এন-এ এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পায়- তেহরান নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চাইছে। হয়তো ইরান এমন কাউকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চায় না যার কারণে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যকার সম্পর্ক আরও উত্তেজিত হয়ে ‍উঠবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: