১১ বছর আগে মরক্কোতে জন্মগ্রহণ করে আইসাম ড্যাম। তখন থেকেই কানে শুনতে পেত না সে। তবে যুগান্তকারী জিন থেরাপি চিকিৎসায় প্রথমবারের মতো শুনতে পেয়েছে বধির শিশুটি। মঙ্গলবার তাকে জিন থেরাপি দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার শিশু হাসপাতালে (সিএইচওপি) চিকিৎসার পর সে কানে শুনতে পায় বলে জানিয়েছেন শিশুটির বাবা। এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
থেরাপির পর আইসাম গাড়ি ও কাঁচির শব্দ শুনতে পেয়েছে বলে জানান তার বাবা। জানা গেছে, শুনতে পেলেও হয়তো কথা বলতে পারবে না সে। হাসপাতালের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রথম যুগান্তকারী জিন প্রতিস্থাপন করেছে ফিলাডেলফিয়ার শিশু হাসপাতাল। জন্মগত বধিরদের কানে শোনার জন্য এই চিকিৎসাপদ্ধতি আশা জাগিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি এই পদ্ধতির প্রশংসাও করা হয়েছে।
সিএইচওপির অটোল্যারিঙ্গোলজি বিভাগের ক্লিনিক্যাল গবেষণার পরিচালক সার্জন জন জার্মিলার বলেন, শ্রবণশক্তির ক্ষেত্রে জিন থেরাপি এমন একটি বিষয় যা নিয়ে চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন। শিশুকালে শ্রবণশক্তি হারানো শিশুদের পুনরায় শোনার আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
জার্মিলার আরও বলেন, এই কাজ বা গবেষণা ভবিষ্যতে ১৫০টিরও বেশি জিন নিয়ে কাজ করবে। যে জিনগুলো মূলত শ্রবণশক্তি হ্রাস করে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ নিয়ন্ত্রক ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের গবেষণা উদ্ধৃত করে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, নতুন করে শুনতে পাওয়া আইসাম হয়তো কখনো কথা বলতে পারবে না। কারণ কথা বলা শেখার মস্তিষ্কের স্তরটি প্রায় পাঁচ বছর বয়সেই বন্ধ হয়ে যায়।
আইসাম এক বিরল কারণে বধির হয়ে জন্মগ্রহণ করেছিল বলে জানা গেছে। জন্মস্থান মরক্কোতে হলেও পরে স্পেনে চলে যায় সে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: