ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ইরানের সম্পৃক্ততা নিয়ে মন্তব্য করল যুক্তরাষ্ট্র

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৯ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:৩০

আমেরিকান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন : সংগৃহীত ছবি আমেরিকান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন : সংগৃহীত ছবি


শনিবার সকালে ইসরায়েলে বড় ধরনের হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের এই পদক্ষেপের পাল্টা হিসেবে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। তবে ইসরায়েলে হামাসের এই হামলায় ইরানের জড়িত আছে কিনা এ নিয়ে এবার মন্তব্য করেছেন আমেরিকান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

৮ অক্টোবর, রোববার এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্লিঙ্কেন বলেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ইরানের সমর্থনে হামাস আরও শক্তিশালী হয়েছে। তবে ইসরায়েলে হামাসের এই সুনির্দিষ্ট হামলায় ইরানের জড়িত থাকার কোনো প্রত্যক্ষ প্রমাণ এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র পায়নি।

এবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আমেরিকান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইরান ও হামাসের মধ্যে সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। প্রকৃতপক্ষে ইরানের কাছ থেকে বহু বছর ধরে পাওয়া সমর্থন ছাড়া হামাস ‘হামাস’ হতো না। ইসরায়েলে হামাসের এই সুনির্দিষ্ট হামলায় ইরানের জড়িত থাকার বিষয়ে তাঁরা এখনো প্রত্যক্ষ কোনো প্রমাণ পাননি। তবে বহু বছর ধরে হামাসের প্রতি ইরানের সমর্থনের বিষয়টি স্পষ্ট।

ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, অন্যান্য দেশে অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ডের জন্য, সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের জন্য তারা গত কয়েক বছর ধরে ইরানের বিরুদ্ধে শক্তভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অতীতে হামাসকে সমর্থনের জন্য তারা ইরানের চার শতাধিক ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, তবে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি গতকাল বলেছেন, তার দেশ ফিলিস্তিনিদের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করে। একই সঙ্গে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, এই অঞ্চলকে বিপন্ন করার জন্য ইসরায়েলকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।

এদিকে, হামাস ও ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলা চালাচ্ছে। এসব হামলায় নিহতের সংখ্যাও বাড়ছে হু হু করে। এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১১০০ ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। ইসরায়েলে হামাসের হামলায় অন্তত ৭০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার সকাল থেকে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর তুমুল লড়াই চলছে। ওই দিন শনিবার সকালে কয়েকশ’ ফিলিস্তিনি যোদ্ধা গাজা উপত্যকার সীমানা অতিক্রম করে ইসরায়েলে প্রবেশ করে। তারা স্থল, সাগর ও আকাশপথে প্রবেশ করে ইসরায়েলি শহর, থানা দখল করে বিস্ময় ছড়ায়। একই সঙ্গে তারা কয়েক হাজার রকেট ছুড়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে।

হামাসের পক্ষ থেকে সব ফিলিস্তিনি সংগঠন ও তাদের মিত্রকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘাতে নিহতের সংখ্যা ১১০০ ছাড়িয়েছে।


সূত্র : এবিসি নিউজ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: