ইসলামি রেভ্যুলেশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) অভিজ্ঞ কমান্ডার আলি আকবর আহমেদিয়ানকে ইরানের নতুন নিরাপত্তা প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।
২২ মে, সোমবার ৬২ বছর বয়সী সেনা কর্মকর্তাকে দেশের শীর্ষ নিরাপত্তা সংস্থার নতুন প্রধান নিয়োগ করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। তিনি আলি শামখানির স্থলাভিশিক্ত হবেন যিনি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই পদে ছিলেন।
আহমেদিয়ান এমন এক সময় এসএনএসসির দায়িত্ব পেলেন যখন তার পূর্বসুরি আঞ্চলিক শক্তিগুলোর সাথে দ্রুত কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন করছিলেন যার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বি সৌদি আরবের সাথে সম্পর্ক পুন:স্থাপন উল্লেখযোগ্য।
অবশ্য পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে ইরানের সম্পর্ক এখনও তিক্ত। ২০১৫ সালের যুগান্তকারী নিউক্লিয়ার চুক্তি এখনও অচলাবস্থায় রয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সশস্ত্র ড্রোন সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে ইরানের বিরুদ্ধে।
একই সাথে রাজনীতি ও সামরিক বিষয়ে পারদর্শীতার বিষয়ে আলি শামখানির সাথে আহমেদিয়ানের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। আহমেদিয়ান পুরোদস্তুর একজন সামরিক ব্যক্তিত্ব। প্রশাসন পরিচালনা বা কূটনৈতিক সম্পর্ক সম্বন্ধে তার অতীত কোনো অভিজ্ঞতার তথ্য জানা যায় না।
আহমেদিয়ানের কর্মজীবনের পুরোটাই কেটেছে আইআরজিসিতে। ১৯৮০ সালের ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় তার উত্থান। তিনি ইরানের বিভিন্ন প্রদেশের আইআরজিসি দপ্তরে জ্যেষ্ঠ সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেছেন।
১৯৯০ এর শেষে আহমাদিয়ান আইআরজিসি নৌ বাহিনীর প্রধান কমান্ডার হন। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে তাকে আধুনিক আইআরজিসি নৌ বাহিনীর স্থপতিদের একজন বলে বর্ননা করা হয়।
পরে আহমাদিয়ান আইআরজিসির জয়েন্ট স্টাফ হিসেবে পদন্নতি পান। ২০০০ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি এই পদে ছিলেন। শেষ দুই বছর তিনি সামরিক বাহিনীর ইমাম হুসেইন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০০৭ সালের পর তিনি আইআরজিসি স্ট্র্যাটেজিক সেন্টারের নেতৃত্ব দেন। নিরাপত্তা ও সামরিক নীতি তৈরিতে তার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর মিসাইল কর্মসূচিতেও তার ভূমিকা আছে।
সূত্র : আলজাজিরা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: