মাইকে মসজিদের আজান নিষিদ্ধ করার দাবি খারিজ করে দিয়েছেন ভারতের গুজরাট হাইকোর্ট। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সুনিতা আগরওয়াল ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ পি মেইয়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি চলছিল।
মসজিদে মাইক বা লাউড স্পিকারে আজান দেয়া হলে তাতে শব্দদূষণ হয়, স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়- এমন অভিযোগ এনে মামলাটি করেছিলেন বজরং দলের নেতা শক্তি সিংহ জালা। ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার মামলাটির শুনানি চলাকালে গুজরাট হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সুনিতা আগারওয়াল আবেদনকারীর আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, শুধু কি আজানের সময় শব্দদূষণ হয়? পুজোর সময় যে গান বা ভজন হয়, তাতে শব্দদূষণ হয় না?
বিচারপতিরা বলেছেন, পুরোপুরি ভুল ধারণার ওপর ভিত্তি করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। কারণ শব্দদূষণ একটি বৈজ্ঞানিক বিষয়। কেবল বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতেই এটা মাপা সম্ভব। তাই প্রমাণ ছাড়া কেবল মুখের কথায় আজানে মাইক নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত দেয়া যাবে না।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল, দিনের বিভিন্ন সময় আজান দেয়া হয়। এ আজানের শব্দে শব্দদূষণ যেমন হয়, তেমনি বয়স্ক মানুষ ও শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর এর খারাপ প্রভাব পড়ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, খুব বেশি হলে পাঁচ মিনিট সময় ধরে আজান দেয়া হয়। সেটিও হয় খালি গলায় (মিউজিক বা বাদ্যযন্ত্র ছাড়া)। এই খালি গলায় আজান দিলে কিভাবে তাতে শব্দদূষণ হয়, সেটি প্রমাণ করুন।
আবেদনকারীর আইনজীবী বলেন, দিনের বেলা ছাড়া ভোরবেলাতেও আজান দেয়া হয়, এতে মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়।
এ ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতি তাকে বলেন, মন্দিরের আরতিও ভোর ৩টায় হয়। সেখানেও তো ঢোল বাজে, গান হয়। তাতে কারো সমস্যা হয় না? মন্দিরে যে ঘণ্টা বাজে তার শব্দ মন্দির চত্বরেই সীমাবদ্ধ থাকে, বাইরে যায় না- এ ব্যাপারে আপনি নিশ্চয়তা দিতে পারবেন? এ ছাড়া আপনারা যে ডিজে বাজান, সেটির জন্যও শব্দদূষণ হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: