গাজার হাসপাতালে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। ১৩ দিন ধরে চলমান এ নৃশংস হামলা অবিলম্বে বন্ধ করাসহ গাজার ওপর থেকে অবোরধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে মুসলিম বিশ্বের বৃহত্তম সংগঠন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি)। পাশাপাশি গাজা উপত্যকায় দ্রুততর সময়ে মানবিক, চিকিৎসা, ত্রাণ সহায়তাসহ পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের আহ্বান জানানো হয়।
গত বুধবার (১৮ অক্টোবর) সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বিশেষ বৈঠক শেষে প্রকাশিত বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
ওআইসির বৈঠকের একই দিন গাজায় হামলাকারী দখলদার ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিবে এসে সংহতি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তা ছাড়া ইসরায়েলি নৃশংসতার নিন্দায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবেও ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
ওআইসির বিবৃতিতে গাজার আল-আহলি হাসপাতালে ইসরায়েলের হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইন সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করা হয়। তা ছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের মোকাবিলায় ফিলিস্তিনিদের আত্মরক্ষা, উদ্বাস্তুদের প্রত্যাবর্তনের বৈধ অধিকারসহ আল-কুদস আল-শরিফকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘ওআইসি যে কোনো অজুহাতে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করা বা তাদের বাড়িঘর থেকে বাস্তুচ্যুত করা বা আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি ও মানবিক মূল্যবোধের লঙ্ঘন করে মানবিক সহায়তার নিরাপদ প্রক্রিয়া থেকে তাদের বঞ্চিত করার নিন্দা করছে।’
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের হামলার মধ্য দিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়। ১৩ দিনের হামলায় ফিলিস্তিনের প্রায় চার হাজার লোক মারা গেছে, যার মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ শিশু রয়েছে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে গাজার আল-আহলি হাসপাতালে বোমা বর্ষণে প্রায় পাঁচ শ শিশু নিহত হয়।
অপরদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলের দেড় হাজারের বেশি লোক নিহত হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: