মুসলিম সংস্থার ৫০ বছর উদযাপনে জার্মানির প্রেসিডেন্ট

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৫২

ছবি : সংগৃহীত ছবি : সংগৃহীত


জার্মানির প্রাচীনতম মুসলিম সংগঠন এসোসিয়েশন অব ইসলামিক কালচারাল সেন্টার প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপিত হয়েছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর কোলন শহরের ভিলা হ্যানেনবার্গে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তা অনুষ্ঠিত হয়। জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ওয়াল্টার স্টেইনমায়ার, নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী মোনা নিউবাউর, কোলন সিটির মেয়র হেনরিয়েট রেকারসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ এতে অংশ নেন।

জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ওয়াল্টার স্টেইনমায়ার বলেন, ‘ইসলাম ধর্ম, মুসলিম সংস্কৃতি আমাদের দেশের শিকড়ে পৌঁছে গেছে।


তাই আজ ইসলাম ও ৫০ লাখ মুসলিমের বৈচিত্র্যও আমাদের দেশের অংশ। আদর্শের দিক থেকে জার্মানি একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হলেও এর মানে এই নয়, আমাদের দেশ ধর্মমুক্ত। এর অর্থ হলো, সব ধর্ম ও বিশ্বাসীদের স্থান দেওয়া এবং তাদের স্বাধীনতা রক্ষা করা। অবশ্য কিছু উগ্র ডানপন্থী গোষ্ঠী শরণার্থী সংকটকে সামনে রেখে ক্রমবর্ধমান বর্ণবাদ ও ইসলামোফোবিয়ার মাধ্যমে সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।

তারা অপপ্রচারের মাধ্যমে শরণার্থী সংকটকে কাজে লাগিয়ে অভিবাসীদের ভয় তৈরির চেষ্টা করছে।’
স্টেইনমায়ার বলেন, ‘ইসলামিক কালচারাল সেন্টারের নেওয়া উদ্যোগগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উন্মুক্ত মসজিদ দিবস, একসঙ্গে ইফতারসহ বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে তারা আন্তধর্মীয় সংলাপের ব্যবস্থা করেছে। তা ছাড়া সংস্থাটি ১৯৮০ সাল থেকে জার্মানির ইমামদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে যা সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ।


আমাদের দেশে বেড়ে ওঠা নারী-পুরুষরা তাদের নিজ ধর্ম ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করছে বিষয়টি খুবই অসাধারণ উদ্যোগ।’
কালচারাল সেন্টারের সভাপতি আলি ইলমাজ বলেন, ‘৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ফেডারেল প্রেসিডেন্টের অংশগ্রহণে আমরা সত্যিই সম্মানবোধ করছি। একইসঙ্গে তাঁর অংশগ্রহণ আমাদের অনেক বছরের ধর্ম, সংস্কৃতি, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও আন্তঃসাংস্কৃতিক সহযোগিতার প্রতি আমাদের অঙ্গীকারের স্বীকৃতি। আমাদের মা ও বাবা উন্নত জীবনের স্বপ্ন নিয়ে নিজেদের ধর্ম, সংস্কৃতি নিয়ে এই দেশে এসেছিল। নতুন দেশ হলেও তারা পরবর্তী বংশধরের জন্য সবকিছু ধরে রাখার চেষ্টা করেছিল।


আজ আমরাও সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করার চেষ্টা করছি।’
১৯৭৩ সালে জার্মানির কোলন শহরে এসোসিয়েশন অফ ইসলামিক কালচারাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এটি জার্মানির সবচেয়ে পুরনো মুসলিম সংস্থা, যার তত্ত্বাবধানে রয়েছে তিন শতাধিক মসজিদ ও শিক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। সংস্থাটি ধর্ম, সংস্কৃতি ও সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি জার্মান মুসলিমদের অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। তা ছাড়া ১৯৮০ সাল থেকে সংস্থাটি জার্মানির ইমাম ও মুসলিশ ধর্মতত্ত্ববিদদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: