সাহিত্য ও ভাষাচর্চায় ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি

মুনা নিউজডেস্ক | ১৬ জুন ২০২৪ ১৪:১৩

ছবি : সংগৃহীত ছবি : সংগৃহীত


সাহিত্যকে অনেকে সমাজের দর্পণ বলেন। আবার কেউ বলেন মানবজীবনের আরশি। সে দর্পণ কিংবা আরশিতে মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্ম, চিন্তা-চেতনা, আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্না, ইতিহাস-ঐতিহ্য, ধর্মবিশ্বাস, দর্শন-ভাবনা, বোধ-কল্পনা, শিল্প-সৌন্দর্য, মাধুর্য-ঔদার্য, ইতিহাস-ঐতিহ্য, দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও সামগ্রিক কর্মপদ্ধতি সব কিছুই প্রতিবিম্বিত হয় বহুরৈখিকভাবে। মানবজীবনের প্রতিটি অনুপ্রসঙ্গ নিয়েও আলোচনা-পর্যালোচনা অথবা সমালোচনা হয় সাহিত্যাঙ্গনে। তাই সাহিত্যকে (ঈৎরঃরপরংস ড়ভ ষরভব) বা জীবনালোচনাও বলা হয়ে থাকে।


মানুষের মনন ও বোধ জাগিয়ে তোলা এবং সত্য ও সুন্দরের সন্ধান দেওয়া সাহিত্যের কাজ। কারণ, যা কিছু সত্য তা-ই সুন্দর। আর সত্য ও সুন্দরের চর্চা এবং অনুসন্ধান করতে গেলে ইসলামি সাহিত্যচর্চার বিকল্প নেই। কারণ ইসলাম অর্থ শান্তি ও সত্যের প্রতি আত্মসমর্পণ। ইসলামি সাহিত্যই পারে মানুষকে সত্য ও সুন্দরের পথ দেখাতে। হৃদয়ের গভীরে পরম আনন্দের স্রোতধারা বয়ে দিতে। তাহলে ইসলামি সাহিত্য কী? এর সংজ্ঞা কী হতে পারে? যে সাহিত্য সত্য ও সুন্দরকে সুকুমারবৃত্তি ও বিশ্বাসদীপ্ত মননশীলতার মাধুরী মিশিয়ে উপস্থাপন করে, তাকে আমরা ইসলামি সাহিত্য বলতে পারি। কিন্তু যখন কোনো লেখক বা সাহিত্যিকের চিন্তা-চেতনার উৎস হয় অসুন্দর, আবিল ও কদর্যপূর্ণ, তখন স্বাভাবিকভাবেই তার কথা ও লেখা পথ হারাবে। ভ্রষ্টতার শিকার হবে। আরও স্পষ্ট করে বললে, তার বোধ-বিশ্বাস যখন ইসলামশূন্য হবে, তখন তার নির্মিত শিল্প-সাহিত্য মানবতার জন্য আশীর্বাদ না হয়ে উল্টো হয়ে উঠবে অভিশাপ।


যারা মনে করে, ইসলামে সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চার পরিধি সীমিত ও সংকুচিত, তাদের এ ধারণা অজ্ঞতাপ্রসূত ও ভিত্তিহীন। বস্তুত ইসলামে সাহিত্যের আয়তন ও সীমা দিগন্তবিস্তৃত ও সুবিশাল।


ইসলাম সমগ্র সাহিত্যজগৎকে কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীলতাকীর্ণ ঘুপচি-গলির আঁধারির পরিবর্তে সৌকর্যমণ্ডিত রূপবৈচিত্র্য, নিষ্ঠাবিধৌত শুদ্ধাচার ও সুন্দরের ফুলেল পথ দেখিয়েছে।

ইসলামের মৌলিকভিত্তি কোরআন ও হাদিস। তাই সাহিত্যসংক্রান্ত যেকোনো কিছুতে এ দুটি অবলম্বন করেই অগ্রসর হওয়া আবশ্যক। নিম্নে ইসলামি দৃষ্টিকোণে সাহিত্যচর্চার স্বরূপ, প্রকৃতি-পদ্ধতি ও তাৎপর্য সংক্ষিপ্তাকারে বিধৃত হলো।

কোরআনে কবিতা ও সাহিত্য প্রসঙ্গ

কোরআনের সাহিত্য প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনার আগে একটি বিষয় স্পষ্ট হওয়া জরুরি। ইতিহাস বর্ণনানুযায়ী পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি ভাষার সাহিত্যই কবিতা আশ্রয় করে গড়ে ও বেড়ে উঠেছে। আরবি সাহিত্যও ঠিক অনুরূপ। রাসুল (সা.)-এর নবুয়াতপূর্ব ও পরবর্তী সময়ে আরবে কাব্যধারাটিই ছিল অত্যধিক প্রচলিত; শৈল্পিক ও নান্দনিকতায় ঋদ্ধ। তাই সাহিত্য প্রসঙ্গ বোঝাতে কোরআনে শের বা কবিতা শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। সুতরাং নিম্নোক্ত আলোচনায় কবি বলতে কবি-সাহিত্যিক এবং কবিতা বলতে পদ্য ও গদ্য উভয়টি বুঝতে হবে।

কোরআন মূলত হেদায়েতগ্রন্থ। তবে অন্য বিষয়গুলোও গৌণ ও মৌনভাবে স্থান পেয়েছে এতে। কাব্য বা সাহিত্যও তেমন একটি প্রসঙ্গ। ইসলাম প্রচারে বিঘœ ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাফেররা রাসুল (সা.)-এর ওপর যে কটি বিশেষণ আরোপ করেছিল, তার মধ্যে ‘কবি’ শব্দটি অন্যতম। মূলত কাফেররা কোরআনকে কবিতা বলে প্রত্যাখ্যান করার প্রতিবাদ-প্রত্যুত্তরে ‘কবি ও কবিতা’ প্রসঙ্গটি বাহ্যত নেতিবাচক বর্ণনাভঙ্গিতে পবিত্র কোরআনুল কারিমে বিবৃত হয়েছে। কোরআনের বর্ণনাশৈলী সম্পর্কে অনভিজ্ঞ যে কেউ মনে করতে পারে, কাব্যচর্চা কোরআনে অনভিপ্রেত; কিন্তু আদৌ সে রকম নয়।

কাব্য ও সাহিত্যচর্চার ব্যাপারে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গী কী, তা স্বল্পবিস্তারে বিবৃত হয়েছে সুরা আশ-শুআরায়। এ সুরার নামকরণের (আশ-শুআরা অর্থ কবিরা) মাধ্যমেই বোঝা যায়, ইসলামে কাব্য ও সাহিত্যের গুরুত্ব কতখানি। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘...বিভ্রান্তরা কবিদের অনুসরণ করে। আপনি কী দেখেন না, তারা প্রতিটি উপত্যকায় উভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়ায় এবং এমন সব কথাবার্তা বলে, যা তারা করে না। তবে তাদের কথা ভিন্ন, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে, সৎকর্ম সাধন করে ও আল্লাহকে অত্যাধিক স্মরণ করে এবং নিপীড়িত হলে প্রতিশোধ গ্রহণ করে।’ (সুরা আশ-শুআরা, আয়াত : ২২৪-২২৭)

কোরআনে কোনো বক্তব্য জোরালোভাবে উপস্থাপন করার জন্য আগে নেতিবাচক দিক ও পরে ইতিবাচক দিকটি তুলে ধরা হয়। নেতিবাচক বক্তব্যের মাধ্যমে ইতিবাচক প্রসঙ্গটি দেদীপ্যমান করার কোরআনিক বর্ণনাশৈলীর মাধ্যমে আয়াতগুলোতে কাফের কবিদের নিন্দা ও মুমিন কবিদের স্তুতি বর্ণনা করা হয়েছে।

কোরআনের প্রায় সব তাফসিরবিশাদরা একমত যে এ আয়াতগুলোর মাধ্যমে কাব্যচর্চাকে নিরুৎসাহিত করা হয়নি। বরং ঈমানদার কবিদের দিকনির্দেশনা দিয়ে তাদের কাব্যচর্চা আরও পরিশীলিত ও বেগবান করতে উৎসাহিত করা হয়েছে।

বুখারি শরিফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ফাতহুল বারিতে আছে, এ আয়াত নাজিল হওয়ার পর আবদুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা, হাসসান বিন সাবিত, কাব ইবনে মালিক (রা.) প্রমুখ সাহাবি অশ্রুসিক্ত বদনে রাসুল (সা.)-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আল্লাহতায়ালা এ আয়াত অবতীর্ণ করেছেন। কিন্তু আমরা তো কাব্যচর্চা করি। এখন আমাদের কী উপায় হবে? রাসুল (সা.) বলেন, আয়াতের শেষাংশ তিলাওয়াত করো। এ আয়াতের উদ্দেশ্য হলো, তোমাদের কাব্যচর্চা যেন সার্থক হয় এবং অনর্থক ও ভ্রান্ত উদ্দেশ্য-আশ্রিত না হয়। কাজেই তোমরা আয়াতের শেষাংশে উল্লিখিত ব্যতিক্রমীদের অন্তর্ভুক্ত।’

উপরোক্ত বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত, কোরআনে কাব্যচর্চা নিষেধ করা হয়নি; বরং কাব্যচর্চা যেন অশুভ ও ভ্রান্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত না হয়ে অধিক কল্যাণপ্রসূ ও পুণ্যময় হয়, সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

হাদিসে কবিতা ও সাহিত্যপ্রসঙ্গ

হাদিসে কবিতা ও সাহিত্য প্রসঙ্গ আলোচনার আগে রাসুল (সা.)-এর ভাষাদক্ষতা ও সাহিত্যমান কেমন ছিল, তা সংক্ষিপ্তরূপে আলোচনা করে নেওয়া সমীচীন। রাসুল (সা.)-এর পবিত্র ধমনিতে কাব্যপ্রতিভার শোণিতধারা সদা বহমান ছিল। তার মা আমিনা বিনতে ওয়াহাব ছিলেন যুগধর্মের দাবিতে একজন স্বভাবকবি। মহানবী (সা.)-এর পিতা আবদুল্লাহর আকস্মিক মৃত্যুর পর তার মা আমিনা যে মর্সিয়া বা শোকগাথা রচনা করেন, তা ইতিহাসখ্যাত। পিতৃব্য আবু তালিবের কবিখ্যাতিও ছিল সর্বত্র সুবিদিত।

রাসুল (সা.)-এর শৈশব অতিবাহিত হয় ভাষাপ্রাচুর্য ও সাহিত্যের রসস্নিগ্ধ পরিবেশের আবহে। ফলে নবুওয়াতপ্রাপ্তির আগেই তিনি আরবি ভাষা ও সাহিত্যে অসাধারণ বুৎপত্তি অর্জন করেন। তাই তিনি বিভিন্ন সময় গর্ব করে বলতেন, ‘আমি আরবের সর্বোত্তম ভাষাশৈলীর অধিকারী ব্যক্তি।’

তার প্রতিটি বাণীই ছিল অত্যন্ত মাধুর্যপূর্ণ ও সাহিত্যপেলব। ওমর (রা.) একবার তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আপনি তো আমাদের মধ্যেই বড় হলেন; কিন্তু আপনি এত সুন্দর ভাষায় কথা বলেন!’ উত্তরে তিনি বলেন, ‘এ তো আমার অধিকার। কারণ পবিত্র কোরআন বিশুদ্ধ ও সুস্পষ্ট আরবি ভাষায় আমার ওপর অবতীর্ণ হয়েছে।’ ওমর (রা.)-এর মতো অন্য সাহাবিরাও তার সাহিত্যপ্রতিভা ও বাচনভঙ্গির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। তবে তার জন্ম কবিপরিবারে হলেও এবং তার ভীষণ কাব্যপ্রীতি থাকলেও আদতে তিনি কবি ছিলেন না। কারণ কবিতা রচনা ও আবৃত্তি করার চেয়ে হাজার গুণ উত্তম কাজে আল্লাহতায়ালা তাকে নিয়োজিত করেছিলেন।

অবশ্য সিরাতের গ্রন্থগুলোর বিভিন্ন বর্ণনায় এসেছে, রাসুল (সা.) হুনাইনের যুদ্ধে স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেছিলেন। আর আয়েশা (রা.) থেকে তিরমিজি শরিফের বরাতে বর্ণিত আছে, তিনি কখনো কখনো বক্তব্যে আবদুল্লাহ ইবনে রাওয়াহার কবিতা দিয়ে উদাহরণ দিতেন।

রুচিশীল কাব্যচর্চা শরিয়তে নিষিদ্ধ নয়; বরং প্রশংসনীয়ও বটে। তবে কাব্য ও সাহিত্যচর্চার ব্যাপারে রাসুল (সা.)-এর কিছু হাদিস বর্ণিত হয়েছে। সেগুলো সামনে রেখে কাব্যচর্চা ও সাহিত্য সাধনা করলে ভ্রান্তিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। রাসুল (সা.) বলেন, ‘নিঃসন্দেহে কোনো কোনো কবিতায় প্রকৃত জ্ঞানের কথা রয়েছে।’ তিনি আরও ইরশাদ করেন, ‘ভালো কথা যেমন সুন্দর, ভালো কবিতাও তেমনই সুন্দর। আর মন্দ কবিতা মন্দ কথার মতো অসুন্দর।’ আরেক হাদিসে আছে, কবিতা হলো সুসামঞ্জস্যপূর্ণ কথামালা। যে কবিতা সত্যনিষ্ঠ, তা সুন্দর। আর যে কবিতা সত্যের অপলাপ, তাতে কোনো কল্যাণ নেই।’

কবি ও কবিতার প্রতি রাসুল (সা.)-এর ভালোবাসা

কবি ও কবিতার প্রতি রাসুল (সা.)-এর ভালোবাসা ছিল অকৃত্রিম। কবিতা ও সাহিত্যের দ্বার অবারিত রাখতে তিনি কবি-সাহাবিদের পুরস্কৃত করতেন। বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করতেন। আর্থিক সহযোগিতা করতেন। গণিমতের মালে তাদের জন্য অংশ বরাদ্দ রাখতেন। মাঝেমধ্যে তাদের কাছে কবিতা শুনতে চাইতেন। কবিতা ও সাহিত্যের প্রতি রাসুল (সা.)-এর আন্তরিক পৃষ্ঠপোষকতা দেখে আবু বকর (রা.), ওমর (রা.), আলী (রা.) প্রমুখ সাহাবি কবিতা আবৃত্তি করে তাকে শোনাতেন।

একবার রাসুল (সা.) দীর্ঘ সফরে বের হলেন। মরুভূমিতে উটের পিঠে বন্ধুর পথ। রাতও হয়ে উঠেছে বেশ। হঠাৎ বলে উঠলেন, হাসসান কোথায়? হাসসান (রা.) এগিয়ে এসে বললেন এই তো আমি, হে আল্লাহর রাসুল! রাসুল (সা.) বললেন, একটা কবিতা শোনাও তো।’

রাসুল (সা.) কবিদের উৎসাহ দিয়েই শুধু ক্ষান্ত হননি; বরং তাদের প্রাপ্য সম্মান ও মর্যাদা দানেও ছিলেন সদা সচেষ্ট। বিস্ময়কর হলেও সত্য যে মসজিদ-ই-নববীর ভেতরে শুধু কবিতা পাঠের জন্য আলাদা একটা মিম্বর (মঞ্চ) তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে দাঁড়িয়ে রাসুলকবি হাসসান ইবনে সাবিত (রা.) কবিতা আবৃত্তি করে মুসলমানদের শোনাতেন। মুসলমানদের গৌরবগাথা ও কাফেরদের নিন্দাকাব্য আবৃত্তি করতেন। রাসুল (সা.) কবিদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য মাঝেমধ্যে তাদের নাম ধরে আল্লাহর দরবারে দোয়া করতেন।

কবি কাব ইবনে জুহাইর (রা.) রাসুল (সা.)-এর হাতে ইসলাম গ্রহণ করে তার প্রশংসাজ্ঞাপক কবিতা রচনা করেন ‘বানাত সুআদ’। আনন্দিত হয়ে রাসুল (সা.) তাকে নিজের ডোরাকাটা চাদর উপহার দেন। কবি আবদুল্লাহ ইবনে রাওয়াহাকে রাসুল (সা.) মদিনার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিও বানিয়েছিলেন।

রাসুল (সা.)-এর পক্ষ থেকে উৎসাহ-উদ্দীপনা পেয়ে সাহাবিদের মধ্যে যাদের কাব্যপ্রতিভা ও স্পৃহা ছিল, তারা সবাই কবিতাচর্চায় আরও ঐকান্তিক হয়ে ওঠেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন হাসসান ইবনে সাবিত, লাবিদ ইবনে রাবিআহ, কাআব ইবনে জুহাইর, আবদুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা, কাআব ইবনে মালিক, আব্বাস ইবনে মিরদাস, জুহাইর ইবনে জুনাব সুহাইম, আন-নাবিগা ওরফে আবু লায়লা (রা.) প্রমুখ। নারী সাহাবিয়াদের মধ্যে নবীকন্যা ফাতিমা, খানসা (রা.) প্রমুখ। খুলাফায়ে রাশেদার মধ্যে তিনজনই তৎকালীন আরববিশ্বের কবি-সাহিত্যিক হিসেবে বিখ্যাত ছিলেন।

সুন্দর-সুস্থ এবং মার্জিতভাবে ভাষা ও সাহিত্যচর্চা ইসলামের বিধান। সাহিত্যচর্চা ও সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা করা রাসুলের সুন্নাত। রাসুল (সা.)-এর ঐকান্তিকতা ও ভালোবাসা এবং আন্তরিক পৃষ্ঠপোষকতার মসৃণ পথ ধরেই কাব্য ও সাহিত্যচর্চার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।

লেখকঃ মুফতি মুহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: