পুঁথিসাহিত্যের আলোকবর্তিকা: আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:১২

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

সাহিত্যের ইতিহাসে নিজের একটা জায়গা করে নেওয়া বেশ কঠিন। তার উপর গুরুত্বপূর্ণ (সিরিয়াস) ধারায় নিজেকে অপরিহার্য করে তোলার ব্যাপারে খুব কম সাধকই কৃতিত্বের দাবি করতে পারেন। আবদুল করিম সৃজনশীল লেখক ছিলেন না হয়তো- কিন্তু নিরলস শ্রমে মননে সাহিত্যের নতুন দিগন্ত আবিষ্কারের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত যাপন করেছেন জীবন। বিলুপ্ত প্রায় জীবনের গল্পকে (পুঁথিসাহিত্য) সবার সামনে এনে প্রাণদান করেছেন।

সাহিত্যের ইতিহাসে নিজের একটা জায়গা করে নেওয়া বেশ কঠিন। তার উপর গুরুত্বপূর্ণ (সিরিয়াস) ধারায় নিজেকে অপরিহার্য করে তোলার ব্যাপারে খুব কম সাধকই কৃতিত্বের দাবি করতে পারেন। আবদুল করিম সৃজনশীল লেখক ছিলেন না হয়তো- কিন্তু নিরলস শ্রমে মননে সাহিত্যের নতুন দিগন্ত আবিষ্কারের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত যাপন করেছেন জীবন। বিলুপ্ত প্রায় জীবনের গল্পকে (পুঁথিসাহিত্য) সবার সামনে এনে প্রাণদান করেছেন।

বাংলার প্রান্তিক সমাজের চিরায়ত মানবিক চেতনায় তিনি বরাবর সবার সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রেখে চলেছেন, হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদ করেননি। ‘পুঁথিও সংগ্রহ করেছেন হিন্দু-মুসলিম অভেদে, তার আগে এমন অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে কেউ পুঁথি সংগ্রহ করেননি।’ (আহমদ শরীফ)

কখনো কখনো এজন্য তাকে বিব্রত হতে হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি থেমে যাননি। প্রসঙ্গত আবদুল করিম বলেন, ‘মুসলমানদের ঘরে জন্মিয়া দেবভাষা (সংস্কৃত) পড়িতে গিয়াছিলাম বলিয়া কৈশোরে একদিন হিন্দু সতীর্থদিগের কত টিটকারি আমাকে সহ্য করিতে হইয়াছিল। আজ আবার মনে পড়িতেছে, মুসলমান হইয়া হিন্দুর পুঁথি দেখিতে গিয়াছিলাম বলিয়া কত হিন্দু ভ্রাতা তীব্র অবজ্ঞায় আমার প্রতি বঙ্কিম চাহনি নিক্ষেপ করিয়াছিলেন। খোদাতায়ালাকে ধন্যবাদ, তাহাদের সেই ঘৃণা ও শ্লেষ-দৃষ্ট-বক্র দৃষ্টিতে ব্যাহত না হইয়া আমার সাহিত্যানুরাগ বরং বাড়িয়াই চলিয়াছিল।’

এক কথায় রক্ষণশীল সামাজিক পরিবেশের সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ তার একজীবনের শ্রম ও সাধনায় বিপুল সংখ্যক পুঁথি সংগ্রহ করেছেন, পাঠোদ্ধার সম্পন্ন করেছেন। মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে আবদুল করিমের অবদান শুধুমাত্র প্রাচীন পুঁথিপত্র সংরক্ষণের জন্যে নয়, তিনি বাঙালী মুসলমানদের আত্মপরিচয় অনুসন্ধানে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছিলেন। অন্ধকারকে হারিয়ে যে আলো জ্বালিয়েছেন তা কাল থেকে কালান্তরে বহমান থাকবে।

আবদুল করিম জন্মের আগে বাবাকে হারান। স্নেহ ভালোবাসায় পরিবারে থাকেন চোখের মনি হিসেবে। পড়াশোনা দেরিতে শুরু হলেও দৃষ্টি ছিল প্রখর। আরবি, ফারসি, উর্দু আয়ত্ত বাড়িতেই শেষ করেন। আর প্রতিষ্ঠানে মুসলমান সমাজের প্রথম প্রজন্মের ইংরেজি শিক্ষিত ম্যাট্রিকুলেট হলেও অহং ছিল না। ছিল সাহিত্য সমাজের অসামান্য মনন। ফলে প্রথম সংগৃহীত পুঁথিটি স্কুলের কাছে ডুমুরিয়া গ্রামের এক কৃষকের ঘর থেকে। এটি পেয়ে তিনি আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান।

পুঁথিটি ছিল আলাওলের পদ্মারতী কাব্য। এই পুথি আবিষ্কারের আনন্দের কথা তিনি ড. মুহাম্মদ এনামুল হককে যেভাবে বলেছিলেন তা বলতে গিয়ে হক বলেন, ‘আনোয়ারায় (চট্টগ্রাম) শিক্ষক আবদুল করিমের দিন খোঁজাখুঁজিতেই কাটে। একদিন হঠাৎ এক চাষির বাড়িতে একখানা পুঁথি পাওয়া গেল। ইউরেকা! ইউরেকা! পেয়েছি, পেয়েছি। সে কি যে সে আনন্দ!! হাজার টাকার তোড়া বা গুপ্তধন পেয়েও কেউ তেমন আনন্দ উপভোগ করেছেন কিনা, জানিনে। আবদুল করিম যখন বৃদ্ধ বয়সে এ কাহিনী বলতেন, তখন তার দন্তহীন মুখে যে হাসি ফুটে উঠতো, তা দেঁতো হাসিকেও মাত করে দিতে দেখেছি। তখনও প্রাচীন হস্তাক্ষর পড়ার ক্ষমতা তার হয়নি। পুঁথিখানি যে কি বই, তা কিছুতেই ঠিক করা গেল না। নানা স্তোক–বাক্যে চাষিটিকে ভুলিয়ে তিনি হস্তগত করলেন—সাত রাজার ধন এক মানিক। আহার নেই, নিদ্রা নেই, পাঠোদ্ধারের প্রচেষ্টা অবিরাম গতিতেই চললো। এক সপ্তাহের অদম্য প্রচেষ্টায় জানা গেল, পুঁথিটি কবি আলাওলের পদ্মাবতী।’ (সাহিত্যবিশারদ স্মারকগ্রন্থ)

এইভাবে পুঁথি আবিষ্কার আবদুল করিমের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এগিয়ে যাবার প্রেরণা দেয়, শক্তি যোগায়। পুঁথির পাঠ উদ্ধার করে বুঝতে পারেন এবং প্রমাণিত হয় প্রাচীন বাংলা সাহিত্যে মুসলমানদের অবদান কোন অংশে কম নয়। এতে তিনি অত্যন্ত আপ্লুত হন এবং চলার উৎসাহ পান। বিশ্বাস জন্মায় এই পাণ্ডুলিপি মুসলমানদের মুখ উজ্জ্বল করেছে। আত্মপরিচয়ের সংকট থেকে রক্ষা করেছে।

অনুসন্ধানী পাঠক মাত্র জানেন, সাহিত্যের প্রাচীন ও সমৃদ্ধ শাখা পুঁথি। কিন্তু সেকালে অধিকাংশ উপযুক্ত যত্নের অভাবে পুঁথি ঐতিহ্য বিলুপ্ত হয়ে গেছে প্রায়। এর মাঝে অনেকের ঘরে পুঁথি তখনো সযত্নে রক্ষিত ছিল, কিন্তু কেউ এগিয়ে যায়নি। আবদুল করিম কঠোর পরিশ্রম, অসীম ধৈর্য ও নানান কায়দায় তা সংগ্রহ করেন। তার সংগৃহীত পুঁথির সংখ্যা প্রায় দুই হাজার। এর মধ্যে প্রায় এক হাজার পুঁথি বাঙালি মুসলমানের রচনা। বাকি এক হাজার হিন্দু কবিদের রচিত। এককভাবে কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি আজ পর্যন্ত এত পুঁথি সংগ্রহ করতে সক্ষম হননি।

অথচ ঐ সময় রচিত বিশাল পুঁথি সাহিত্যের ভাণ্ডার যে কোনো সাহিত্যের মূল্যবান সম্পদ। এটা কেবলমাত্র সাহিত্যই নয়, এর মধ্যে আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি, জীবনবোধ ও জীবনের স্বপ্ন-কল্পনার লালন ও বিকাশ হয়েছে।

পাঠ বিশ্লেষণে বলা যায়, প্রাচীন সাহিত্য সাধনায় মুসলমানের কীর্তি গণ্ডিবদ্ধ নয় বরং কোনো কোনো বিষয়ে অধিকতর শ্রেষ্ঠ। এনামুল হক বলেন ‘পদ্মাবতীর প্রাচীন পাণ্ডুলিপির আবিষ্কার আবদুল করিমের জীবনের প্রথম ও স্মরণীয় ঘটনা। এটি জাতীর পক্ষেও এক মূল্যবান আবিষ্কার। এই আবিষ্কারকে ভিত্তি করে আজ জাতির প্রাচীন সাহিত্য সাধনার সৌধ গড়ে উঠেছে।’ দ্বিতীয়ত পদ্মাবতী আবিষ্কারের পরে আবদুল করিমের মনে গবেষণার নেশা তীব্র হয়ে দেখা দেয়।

এরপর থেকে তার প্রচেষ্টা আরও দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলে। তিনি খোঁজ পান শিলাইগড়া গ্রামের মহুরি বাড়ির বুধা গাজী এলাকার একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি ও পুঁথি প্রেমী, প্রতিদিন সন্ধ্যায় তার বাড়িতে পুঁথির আসর জমান। তার কাছে অনেক প্রাচীন পুঁথি সংগ্রহে আছে। আবদুল করিম একদিন মহুরি বাড়িতে বুধা গাজীর সঙ্গে পুঁথির আসরে অংশ নেন। তখন তিনি দেখতে পেলেন এলাকার প্রবীণ সাহিত্যপ্রেমী বুধা গাজীর সংগ্রহ অনেক পুঁথি। তা দেখে অবাক হয়। পুঁথিগুলো কীভাবে নেওয়া যায়, সে ভাবনায় মশগুল। বুধা গাজীও তাকে পেয়ে দারুণ খুশি। করিমকে বাড়িতে কয়েকদিন থেকে যাওয়ার অনুরোধ জানালে তাতে তিনিও রাজী হয়ে যান। তিনিও চেয়েছিলেন বুধা গাজী নিজ থেকেই যেন এই প্রস্তাবটি দেন। এইভাবে তার সংগ্রহের কাজ এগিয়ে যেতে থাকে, দেখা-অদেখা নানান কায়দায়!

আবদুল করিমের অসামান্য কাজটি না হলে মুসলমানের আত্মপরিচয় সংকট তথা কালের ধুলোয় মিশে যেতে বলে অনেকের ধারনা। প্রসঙ্গত তার মুখেই শুনি, ‘আমি যে কালে সাহিত্যে প্রবেশ করি, তখন দ্বিতীয় মুসলমান কেহ ছিল না বলিলেই হয়। হিন্দু পুস্তক, পত্রিকা পাঠ করিতে করিতে একটা প্রশ্ন আমার মনে আন্দোলিত হইতে যে, আধুনিক কালের মতো প্রাচীন কালেও কি মুসলমান ছিল না? প্রাচীন পুঁথি সংগ্রহ করিতে বুঝিতে পারি যে হিন্দুর মতো মুসলমানেরও একটা বিরাট সুগঠিত ও উন্নত প্রাচীন সাহিত্য আছে। তাহাই প্রমাণ ও প্রদর্শন করিবার জন্য নিজের দারিদ্র ও ক্ষুদ্র শক্তি বিস্তৃত হইয়া আমি ধ্যানমগ্ন যোগীর ন্যায় বিগত অর্ধ শতাব্দী কাল এক ধ্যানে কাটাইয়া আজ ৭৪ বৎসর বয়সে উপনীত হইয়াছি।’ (১৯৪৫ এ জয়ন্তী উৎসবে মানপত্রের উত্তরে ভাষণ)

তার নিষ্ঠা ও শ্রমের প্রশংসা করে রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদী সাহিত্যবিশারদকে এক চিঠিতে লিখেন, ‘আপনার পুরস্কার ভবিষ্যৎ ইতিহাস লেখকের হস্তে। বর্তমান অধম সমাজ আপনার পুরস্কার দিতে পারিবে না।’ আসলে কেউ কারও কীর্তির পুরস্কার দিতে পারে না। কালের ভেলায় কালই স্বীকৃত দেয়।

আবদুল করিম প্রথমে সাহিত্যচর্চা নিবন্ধ রচনা দিয়ে শুরু করেন। তার সাহিত্যকর্ম তৎকালীন শিল্প-সাহিত্যের বিদগ্ধ সমাজের মনোযোগ আকর্ষণ করে। মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যে মুসলমানদের অবদান ছিল তার বিশেষ আগ্রহের বিষয়। সারা জীবন তিনি প্রাচীন পাণ্ডুলিপি (পুঁথি) সংগ্রহ করেন। ১৯২০-২১ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ তার রচিত বাংলা পুঁথির তালিকা বাঙলা প্রাচীন পুঁথির বিবরণ শিরোনামে দুখণ্ডে প্রকাশ করে। তার মধ্যে সংগৃহীত পুঁথির বেশির ভাগ মুসলমান কবিদের লেখা। সংগৃহীত ১৭০০ পুঁথি তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দিয়েছিলেন, যেগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে আছে। হিন্দু কবিদের লেখা অবশিষ্ট পুঁথিগুলো রাজশাহীর বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরকে দেওয়া হয়েছে।

বলা যায়, তার এই প্রয়াসের ফলে ‘প্রায় ৪০০ বছরের সাহিত্যিক নিদর্শন বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে স্থান পেয়েছে। মধ্যযুগের দেড় শতাধিক কবিকে আবিষ্কারের কৃতিত্ব তার’ (ড. মাহবুবুল হক)

তার আবিষ্কৃত গুরুত্বপূর্ণ কবি হলেন- পনেরো শতকের শাহ মোহাম্মদ সগীর, ষোলো শতকের দৌলত উজির বাহরাম খান, সৈয়দ সুলতান, শেখ ফয়জুল্লাহ, সতেরো শতকের কাজী দৌলত, মাগন ঠাকুর, আলাওল, আঠারো শতকের আলী রজা প্রমুখ। এ ছাড়া ষোলো শতকের দ্বিজ শ্রীধর কবিরাজ, কবীন্দ্র পরমেশ্বর, শ্রীকর নন্দী, গোবিন্দ দাসসহ ত্রিশোর্ধ্ব হিন্দু কবিও রয়েছেন, যাদের পুঁথি ও পদের তিনিই প্রথম আবিষ্কর্তা।

মধ্যযুগের ভারতীয় সাধক ও তাদের সাধনা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ ক্ষিতিমোহন সেন শাস্ত্রী একবার চট্টগ্রাম এসে সাহিত্যবিশারদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন। শাস্ত্রীর ব্যগ্রতা দেখে তার স্থানীয় মেজবান এক আমলা নিজের কর্তৃত্বের অভ্যাসে তাকে ডেকে পাঠানোর আশ্বাস দিলে ‘ক্ষিতিমোহন গরম হয়ে গেলেন, অবাকও হয়েছিলেন। বললেন: কি বললে, তাকে ডেকে আনাবে! তিনি আমাদের অগ্রণী, আমাদের নমস্য, তাকে ডেকে আনাবে কি, আমরাই তার কাছে যাব। ...দূর থেকে (তাকে) দেখে ক্ষিতিমোহন বললেন: উনি ব্যক্তি মাত্র নহেন, উনি একটা প্রতিষ্ঠান।’ (সাহিত্যিক মাহবুব উল আলম)

সবাই সবাইকে চেনে না, কেউ কেউ চেনে। এই কীর্তিমানকে অনেকে চিনতে পারেনি সে সময়, আন্তরিক সাহায্য করেননি। তবু অবিরাম কাজ করে গেছেন তিনি। নিজ সম্পাদনায় প্রকাশ করেন এগারোটি প্রাচীন বাংলা গ্রন্থ। ইসলামাবাদ শিরোনামে তিনি চট্টগ্রামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে একটি গ্রন্থও রচনা করেন। ডক্টর মুহম্মদ এনামুল হকের সঙ্গে যৌথভাবে তিনি ‘আরাকান রাজসভায় বাঙলা সাহিত্য’ শীর্ষক আরেকটি গ্রন্থ রচনা করেন।

সর্বোপরি পুঁথি সংগ্রহ, সম্পাদনা ও রচনার পাশাপাশি আবদুল করিম দেশ-কাল-ভাষা-শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি-রাজনৈতিক সমস্যা ইত্যাদি নানা বিষয়ে বহুসংখ্যক চিন্তা ও গবেষণামূলক মৌলিক প্রবন্ধ রচনা করেছেন। সামগ্রিক কীর্তিতে নদীয়া সাহিত্য সভা ‘সাহিত্য সাগর’ উপাধিতে সম্মানিত করে এবং চট্টল ধর্মমণ্ডলী তাকে ‘সাহিত্য বিশারদ’ উপাধিতে ভূষিত করে। তিনি বরাবরই শেষোক্ত খেতাবটি পছন্দ করতেন এবং নামের সঙ্গে তা ব্যবহার করতেন। আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ আজীবন দুঃখ-কষ্টে থেকেও বাংলা সাহিত্যের উন্নয়ন ও বিকাশে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছেন।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: