শেখ হাসিনা গত ১৫ বছর তার বাবার পথেই হেঁটেছে : মাহমুদুর রহমান

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২০ অক্টোবর ২০২৪ ২১:৪৯

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

শেখ মুজিব বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের রাস্তা দেখিয়ে গেছে। শেখ হাসিনা তার বাবার পথেই গত ১৫ বছর হেঁটেছে বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। 

২০ অক্টোবর রবিবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে "ফ্যাসিবাদী বয়ান নির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা: একটি পর্যালোচনা'’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বিশেষ অথিতির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ডায়লগ ফর ডেমোক্রেসি নামক একটি সংগঠনের আহ্ববায়ক শেখ মো. আরমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস-সচিব শফিকুল আলম এবং এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি।

সভায় আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর ইসলাম বলেন, শেখ মুজিব দেশের ফেরার পর প্রথম যে ব্যবস্থাগুলোকে ধ্বংস করেছেন তার মধ্যে অন্যতম গণতন্ত্র। বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছিলেন তিনি। শেখ মুজিব সাড়ে তিন বছরের শাসনে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে, দুর্ভিক্ষে মানুষ মেরেছে, রক্ষী বাহিনীর মাধ্যমে হাজার হাজার বিচারবর্হিভুত হত্যা করেছে। দেশের সব মিডিয়া, বিরোধীমতের কণ্ঠকে রোধ করেছে। আজ শেখ মুজিব বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের রাস্তা দেখিয়ে গেছে। শেখ হাসিনা তার বাবার পথেই গত ১৫ বছরে হেঁটেছে।

ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর আলোকপাত করে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়। ১) কার্লট চরিত্র তৈরি ২) পাবলিক এনিমি তৈরি ৩) রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ৪) নিয়ন্ত্রিত বিচার ব্যবস্থা ৫) ফ্যাসিবাদ বয়ান প্রচারে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ। এই বিষয়গুলোর মধ্যে সাবেক সরকার দেশে প্রতিষ্ঠা করেছিল। বিরোধীমত দমন করার জন্য তারা এই বিষয়গুলোকে গত ১৫ বছরে কাজে লাগিয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের বিশাল একটি জনগোষ্ঠীর অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে এবং গণমাধ্যম কীভাবে তা বৈধতা দিয়েছে, তা ইতিহাসে খুব অদ্বিতীয় ঘটনা। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশ এবং বিশ্বের গবেষকগণ একটি নির্মোহ গবেষণা করতে পারেন।

তিনি বলেন, গণঅভুত্থানপরবর্তী বাংলাদেশে আমরা যেন কখনোই কোনো জনগোষ্ঠীকে বাদ না দেই। গত ১৫ বছরের প্রতি পরতে পরতে এটা ছিল। বিভিন্ন পত্রিকায় শিরোনামের মাধ্যমে গ্রেফতারকে ন্যায্যতা দিয়েছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকে ন্যায্যতা দিয়েছে। ২০১৩ সালের ৬ মে হেফাজতের উপর ক্রাকডাউনের পর একটি পত্রিকার লেখক প্রথম পাতায় হেফাজতকে ‘এনশিয়েন্ট এনিমেল’ এর সাথে তুলনা করেছে। কিভাবে গণতন্ত্র না থাকাই ভালো, তা দেখানো হয়েছে।

গত ৫ আগস্টের আগস্টের আগেও বাংলাদেশের গণমাধ্যমে পাকিস্তানি আমলের কায়দায় ছাত্রদের সন্ত্রাসী, দুর্বৃত্ত হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। অনেকে গণমাধ্যমে গিয়ে অনবরত এমন মতামত দিয়েছেন। গণমাধ্যমকে সঠিক পথে আনতে সকল মতের মানুষকে জায়গা দিতে হবে। গত ১৫ বছরে গণমাধ্যমকে নিজেদের ভূমিকা নিয়ে একটি নিজস্ব অনুসন্ধান করার আহ্বান জানান তিনি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: