১৩ অক্টোবর, ২০২৫, জেরুজালেমের নেসেটে ইসরাইলি জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির। ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনি জনগণের অস্তিত্বই নেই। এমন মন্তব্য করেছেন ইসরাইলের কট্টরপন্থি নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির। গাজার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের-মধ্যস্থতায় শান্তি পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপ বাস্তবায়নের বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভোটের আগে এমন মন্তব্য করলেন তিনি।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) নিরাপত্তা পরিষদ যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া এবং বেশ কয়েকটি আরব ও মুসলিম দেশের সমর্থিত একটি প্রস্তাবের উপর ভোট দেবে, যা তারা বলেছে যে ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং রাষ্ট্রের পথ সহজ করবে।
এর আগে শনিবার একটি দীর্ঘ এক্স পোস্টে বেন-গভির, যিনি অতি-জাতীয়তাবাদী ওতজমা ইয়েহুদিত দলের নেতাও, দাবি করেছেন, ফিলিস্তিনি জনগণ বলে কিছু নেই। যুক্তি দেন যে, কোনো ঐতিহাসিক, প্রত্নতাত্ত্বিক বা বাস্তব ভিত্তি ছাড়াই জাতিটির আবিষ্কার হয়েছে।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আরব দেশগুলো থেকে ইসরাইলের ভূমিতে অভিবাসী হয়ে আসা মানুষদের নিয়ে একটি জাতি হতে পারে না। তারা সর্বত্র, বিশেষ করে গাজায় যে সন্ত্রাসবাদ, হত্যা এবং নৃশংসতা ছড়িয়ে দিয়েছে তার জন্য তারা অবশ্যই কোনো পুরষ্কারের যোগ্য নয়।’
এদিকে, ইসরাইলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ একই রকম আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সমগ্র বিশ্বের কাছে স্পষ্ট করে বলার আহ্বান জানিয়েছেন যে, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র কখনও প্রতিষ্ঠিত হবে না।
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে বর্তমানে ১৫৭টি দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে। যার মধ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্যের মধ্যে চারটিও রয়েছে।
অন্যদিকে, রাশিয়া জোর দিয়ে বলেছে, গাজা সংক্রান্ত ভবিষ্যতের প্রস্তাবগুলোতে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান এবং একটি কার্যকর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের পথ পুনর্নিশ্চিত করতে হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: