ইরানের শক্তিই শত্রুপক্ষকে ‘নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে’ যেতে বাধ্য করেছে: দাবি আরাঘচির

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৭ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:৫৩

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। ছবি: সংগৃহীত ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। ছবি: সংগৃহীত

১২ দিনের যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল ‘নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে’ যেতে বাধ্য হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি।

গেল জুন মাসে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ায় যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র। তেহরানের দাবি, ওই হামলার উদ্দেশ্য ছিল বিস্ময় তৈরি করে পারমাণবিক স্থাপনা দ্রুত দখলে নেয়া। কিন্তু ইরানের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় সে পরিকল্পনা ভেস্তে যায় বলে দাবি করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি।

হামেদান প্রদেশের প্রশাসনিক সভায় আরাঘচি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলি হামলার শুরুতে তাদের ধারণা ছিল হঠাৎ আঘাতে দুই-তিন দিনের মধ্যেই ইরান আত্মসমর্পণ করবে। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি দেশের সর্বোচ্চ নেতার প্রজ্ঞা, সেনা নেতৃত্বের দ্রুত পুনর্গঠন ও সরকারের কার্যকর সংকট ব্যবস্থাপনায়।

আরাঘচির মতে, যে শত্রু প্রথমে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ চাইছিল, ১২তম দিনে সেই শত্রুই নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি দাবি করেছে।
আরাঘচি আরও দাবি করেন, সাম্প্রতিক যুদ্ধে ইসরাইলের আকাশপথ ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের নিয়ন্ত্রণে ছিল। পশ্চিমা দেশগুলোর সহায়তায়ও ইসরাইলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেই হামলা ঠেকাতে পারেনি।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ চলাকালীন তেরানের প্রতিদিনের পাল্টা হামলা ছিল আরও নির্ভুল ও কার্যকর। নিজস্ব প্রযুক্তিতে গড়া সামরিক সক্ষমতাই ছিল এই সাফল্যের মূল চালিকা শক্তি। জাতীয় ঐক্য ও জনগণের সংহতিকেও তিনি বিজয়ের অন্যতম উপাদান হিসেবে আখ্যা দেন।

এদিকে, ইরানের পার্লামেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি কমিটির উপপ্রধান নবাভিয়ান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাব দিয়েছিল যে ইরান যদি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ২০ ও ৬০ শতাংশে বন্ধ করে দেয়, তবে তারা জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করবে না।

তিনি দাবি করেন ট্রাম্প প্রশাসনের মূল উদ্দেশ্য তেহরানকে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান খাতে অক্ষম করে দেয়া। তবে দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক কর্তৃপক্ষের সতর্কতায় সে পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: