 যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদার ইউক্কা ফ্ল্যাটসের কাছে নেভাদা টেস্ট সাইটে ১৯৫৫ সালের ২৩ মার্চ পারমাণবিক পরীক্ষার দৃশ্য। ছবি: এপি
                                    যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদার ইউক্কা ফ্ল্যাটসের কাছে নেভাদা টেস্ট সাইটে ১৯৫৫ সালের ২৩ মার্চ পারমাণবিক পরীক্ষার দৃশ্য। ছবি: এপি
                                    প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প পেন্টাগনকে ফের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরুর যে নির্দেশ দিয়েছেন তাতে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে রাশিয়া ও চীন। যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক পরীক্ষা পুনরায় শুরু হলে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা হুমকিতে পড়বে বলে মন্তব্য করেছে পরমাণু শক্তিধর দেশ দুটি।
৩৩ বছর বন্ধ থাকার পর হঠাৎ প্রেসিডেন্টের পারমাণবিক পরীক্ষা শুরুর অনুমোদন নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। বিশ্ব পরাশক্তিগুলো নিজেদের কৌশল ঠিক করতে এখনই উঠেপড়ে লেগেছে। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে পরমাণু শক্তিধর দেশগুলো।
রাশিয়া বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ বিশ্বকে আবার অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। একইসঙ্গে রুশ পার্লামেন্টের প্রতিরক্ষা কমিটির প্রধান বলেন, এ সিদ্ধান্ত নতুন সংঘাতের ক্ষেত্র তৈরি করছে। একইসঙ্গে এটিকে বিপজ্জনক উস্কানি বলেও আখ্যা দেন তিনি।
কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীনও। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই পারমাণবিক পরীক্ষা স্থগিত রাখার আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার মানতে হবে। তিনি বলেন, ওয়াশিংটনের একতরফা পদক্ষেপ বৈশ্বিক কৌশলগত ভারসাম্য নষ্ট করবে।
প্রেসিডেন্টের নির্দেশের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরানও। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে একে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে অভিহিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক বার্তায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিরক্ষা বিভাগকে যুদ্ধ বিভাগ হিসেবে পুনঃনামকরণ করে পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত অত্যাচারী দেশ আবারও তাদের পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করছে।’
বিশ্বে বর্তমানে নয়টি দেশের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। সবচেয়ে বড় ভাণ্ডার হিসেবে রাশিয়ার আছে এ ধরনের প্রায় সাড়ে ৫ হাজার অস্ত্র। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আছে ৫ হাজারের বেশি। এই দুই দেশ বিশ্বের মোট পারমাণবিক অস্ত্রের প্রায় ৯০ শতাংশের মালিক।
চীনের হাতে আছে আনুমানিক ৬০০টি পারমাণবিক ওয়ারহেড। রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে নতুন করে অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ায় এই সংখ্যা আবার বাড়ার শঙ্কা করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
 
             
                                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: