আরও দুই জিম্মির লাশ ফেরত দিলো হামাস

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ২০:০১

ইসরাইলি জিম্মি আমিরাম কুপার ও সাহার বারুখ। ছবি: সংগৃহীত ইসরাইলি জিম্মি আমিরাম কুপার ও সাহার বারুখ। ছবি: সংগৃহীত

ইসরাইলকে আরও দুই জিম্মির লাশ ফেরত দিয়েছে ফিলিস্তেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজাজুড়ে ইসরাইলি একাধিক বিমান হামলার একদিন পর গত বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে দাতব্য সংস্থা রেডক্রসের কাছে লাশ দুটি হস্তান্তর করা হয়।


এরপর ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় লাশ দুটির প্রাপ্তি স্বীকার করে। পরে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ জানায়, যে দুই জিম্মির লাশ ফেরত দেয়া হয়েছে, তারা হলেন আমিরাম কুপার (৮৪) ও সাহার বারুখ (২৫)। লাশ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ।

আমিরাম কুপারকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলের কিবুত্স নির ওজের বাড়ি থেকে অপহরণ করে হামাস। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) ধারণা, তিনি ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বন্দিদশায় নিহত হন। আইডিএফ তার মৃত্যুর বিষয়টি ২০২৪ সালের জুনে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করে।

অন্যদিকে একইদিনে কিবুত্স বেয়েরি থেকে বারুখকে অপহরণ করা হয়। আইডিএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে এক ব্যর্থ উদ্ধার অভিযানের সময় তিনি নিহত হন।

যুক্তরাষ্ট্র, মিশর, কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় হওয়অ যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি ট্রাম্পের ২০ দফা গাজা শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ। চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হামাসকে ৪৮ জন জীবিত ও মৃত জিম্মি ফেরত দিতে হবে।

গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ১৩ অক্টোবর হামাস ২০ জন ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়। বিনিময়ে ২৫০ ফিলিস্তিনি বন্দি ও গাজা থেকে আটক ১ হাজার ৭১৮ জনকে মুক্তি দেয় ইসরাইল। এরপর আরও ১৩ ইসরাইলি ও ২ বিদেশি জিম্মির মরদেহের বিনিময়ে ১৯৫ ফিলিস্তিনির দেহ ফেরত দেয়া হয়।

সবশেষ আরও দুটি লাশ ফেরত দেয়ার পর এখন গাজায় আর ১১টি লাশ রয়েছে। এদিকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। গত মঙ্গলবার (২৮ অক্টাবর) থেকে বুধবার (২৯ অক্টোবর) পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় ৪৬ শিশু ও ২০ জন নারীসহ ১০৪ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: