পসেইডন পারমাণবিক টর্পেডো 'পুরো রাজ্যকে অক্ষম করতে পারে', দাবি রাশিয়ার

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ২১:৫২

ফাইল ছবি ফাইল ছবি

পশ্চিমা চাপের মধ্যে রাশিয়া পারমাণবিক সক্ষমতা প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছে। তারই অংশ হিসেবে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুধবার জানালেন, রাশিয়া সফলভাবে পসেইডন নিউক্লিয়ার সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এই অত্যাধুনিক অস্ত্রটি উপকূলীয় অঞ্চলে বিশাল তেজস্ক্রিয় জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি করে বড় ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ ঘটাতে সক্ষম।

বুধবার মস্কোর একটি হাসপাতালে ইউক্রেন যুদ্ধে আহত রুশ সেনাদের সাথে চা-পান করার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন জানান, এই পরীক্ষাটি মঙ্গলবার করা হয়েছে।

পুতিন বলেন, এই প্রথম আমরা শুধু একটি সাবমেরিন থেকে বুস্টার ইঞ্জিন দিয়ে এটিকে উৎক্ষেপণই করিনি, এর পারমাণবিক শক্তি ইউনিটও চালু করতে সক্ষম হয়েছি, যার মাধ্যমে এটি নির্দিষ্ট সময় ধরে কাজ করেছে। তিনি আরও দাবি করেন, এরকম আর কিছু পৃথিবী নেই। এই পসেইডনকে আটকানোর কোনো উপায় নেই।

সামরিক বিশ্লেষকদের ধারণা, প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার (৬ হাজার ২০০ মাইল) পাল্লার এই পসেইডন টর্পেডোটি ঘণ্টায় প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে। এটি মূলত একটি পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন টর্পেডো এবং ড্রোনের সমন্বয়ে তৈরি।

এর আগে ২১ অক্টোবর রাশিয়া নতুন বুরেভেস্টনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করে। ২২ অক্টোবর পারমাণবিক মহড়া চালায় পুতিনের দেশ। বিশ্লেষকদের মতে, এই পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে রাশিয়া পশ্চিমা বিশ্বের কাছে স্পষ্ট বার্তা দিতে চাইছে যে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তারা কখনই চাপের কাছে মাথা নত করবে না।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম অনুযায়ী, ন্যাটোতে ক্যানিয়ন নামে পরিচিত ১০০ টন ওজনের এই পসেইডন টর্পেডোটি ২০ মিটার লম্বা এবং ১.৮ মিটার ব্যাসের।

প্রেসিডেন্ট পুতিন আরও দাবি করেন, পসেইডনের ক্ষমতা রাশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র সারমাত যাকে ন্যাটো শয়তান ২ নামে ডাকে, তার থেকেও অনেক বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন।

পুতিন ২০১৮ সালে প্রথম পসেইডন ও বুরেভেস্টনিক-এর কথা জানানোর সময় বলেছিলেন, এটি ২০০১ সালে এবিএম চুক্তি থেকে ওয়াশিংটনের একতরফা প্রত্যাহারের পর মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরির প্রতিক্রিয়ায় এবং ন্যাটো-র পূর্বাঞ্চলীয় সম্প্রসারণের জবাবে তৈরি করা হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: