
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ)। টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানিয়েছে, শুক্রবার (১০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে সেনারা গাজার কিছু এলাকা থেকে সরে এসে ‘নতুন নির্ধারিত সীমানা বরাবর অবস্থান নেয়া শুরু করেছে’।
ইসরাইলি গণমাধ্যম চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনায় উল্লেখিত এবং হামাস ও ইসরাইলের সম্মত হওয়া এলাকাগুলো থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী রাফাহ ও খান ইউনিস (দক্ষিণ) এবং গাজার উত্তরের এলাকা থেকে পূর্ব দিকে প্রত্যাহার করে ইসরাইলের সীমান্তের দিকে সরে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে কিছু সামরিক ব্রিগেড এবং ডিভিশন গাজার কেন্দ্র থেকে সরে এসেছে। এদিকে উপত্যকার দক্ষিণ অংশ থেকে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি পরিবারগুলো উত্তরের দিকে যাত্রা শুরু করেছে।
এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি ‘পর্যবেক্ষণ’ করার জন্য কয়েকটি দেশের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌথ টাস্কফোর্সের অংশ হিসেবে ইসরাইলে ২০০ মার্কিন সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের একজন কর্মকর্তা আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, ওই ২০০ মার্কিন সেনা এরই মধ্যে ইসরাইলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি দেখভালে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা পাঠানোর বিষয়টি হামাসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা গ্যারান্টি বলে মনে করা হচ্ছে যা হামাসকে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হতে উদ্বুদ্ধ করে।
মিশরের শারম আল-শেখ শহরে তিনদিনের পরোক্ষ আলোচনার পর গত বুধবার (৮ অক্টোবর) রাতে উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়। মার্কিন তত্ত্বাবধানে তুর্কি, মিশর ও কাতারের প্রতিনিধিরা এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। গত বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ভোরে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ইসরাইল ও হামাস তার যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় পরিকল্পনার ‘প্রথম ধাপে’ সম্মত হয়েছে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিকভাবে হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি অনুমোদন করেছে ইসরাইলি সরকার। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর এক্স অ্যাকাউন্টে এক ঘোষণায় বিষয়টি জানানো হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: