গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলাতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ রুহি লরেন আখতার

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:২৬

ফাইল ছবি ফাইল ছবি

গাজার উদ্দেশে যাত্রা করা মানবিক সহায়তা বহনকারী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলাতে আছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ মানবাধিকারকর্মী রুহি লরেন আখতার। তিনি ‘রিফিউজি বিরিয়ানি অ্যান্ড বানানাস’ নামের মানবিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী।

ফেসবুকে দেওয়া তাঁর সর্বশেষ পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘গতকাল রাতে শুধু খাদ্য, শিশুদের দুধ ও জরুরি সরঞ্জাম বহনকারী সহায়তা জাহাজগুলোকে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইসরায়েলি বাহিনী আটক করেছে এবং অংশগ্রহণকারীদের অপহরণ করেছে। এটি এক ভয়াবহ লঙ্ঘন, কিন্তু এখানেই শেষ নয়। গাজাবাসীর এখনো আমাদের প্রয়োজন।’

বিশ্ববাসীকে এই অভিযানের পাশে দাঁড়াতে ও অবরোধ ভাঙতে আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখতে আহ্বান জানিয়ে রুহি লরেন বলেন, ‘আমাদের প্রতিবাদী কণ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ। একসঙ্গে আমরা লড়াই চালিয়ে গেলে একদিন অবরোধ ভাঙবে এবং সহায়তা নির্বিঘ্নে পৌঁছাতে পারবে।’

রুহি লরেন আখতার যুক্তরাজ্যের নর্থাম্বারল্যান্ডের মোরপেথে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শৈশবে এক বছর বাংলাদেশে কাটিয়েছিলেন। বহু বছর যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসে পডিয়াট্রিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন।

২০১৫ সালে তিন বছর বয়সী সিরীয় শরণার্থী শিশুর নিথর দেহের ছবি দেখে তিনি স্বেচ্ছাসেবী কাজে ঝুঁকে পড়েন এবং কালে ও ডানকার্কের শরণার্থী শিবিরে সহায়তা দিতে শুরু করেন। একই বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি গড়ে তোলেন ‘রিফিউজি বিরিয়ানি অ্যান্ড বানানাস’—যা এখনো যুদ্ধবিধ্বস্ত ও বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীকে খাদ্য, চিকিৎসা ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে।

চলতি বছরের মার্চে কায়রো থেকে রাফাহ সীমান্ত পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পদযাত্রার আয়োজনেও তিনি সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। তাঁর সংগঠন আরবিবি গাজায় ত্রাণ বিতরণে মাঠপর্যায়ে কাজ করছে, যদিও সীমান্ত পারাপারের নানা বাধার মুখে পড়ছে।

২০২৪ সালে তিনি নর্থ ইস্ট বাংলাদেশি অ্যাওয়ার্ডের ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার পান।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: