
ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের সেনাবাহিনী প্রতিহত করেছে। সানায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হওয়ার একদিন পর বৃহস্পতিবার এ পাল্টা হামলা হলো। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে তারাও আক্রান্ত হলো।
তাৎক্ষণিকভাবে কেউ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় গাজা উপত্যকায় গণহত্যা যুদ্ধ শুরু করার পর ইরান-সমর্থিত হুথিরা ইসরায়েলে বারবার ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী টেলিগ্রামে জানিয়েছে, কিছুক্ষণ আগে ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি এলাকায় সাইরেন বাজানোর পর ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার বিদ্রোহী-অধিষ্ঠিত রাজধানী সানায় হুথি সশস্ত্র বাহিনীর ওপর ইসরায়েল হামলা করে। জওফ প্রদেশের একটি হুথি কমপ্লেক্সসহ বেশ কিছু স্থানে হামলা হয়।
হুথি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনিস আলাসবাহি বলেছেন, সানায় ২৮ জন নিহত এবং ১১৩ জন আহত হন। একই সময় সৌদি আরবের সীমান্তবর্তী জাওফে সাতজন নিহত এবং ১৮ জন আহত হয়েছেন।
গত মাসে সানা এলাকায় একটি সরকারি সভায় ইসরায়েল হামলা করে। ওই হামলায় হুথি প্রধানমন্ত্রী আহমেদ গালেব নাসের আল-রাহাবি, ৯ জন মন্ত্রী এবং দুজন মন্ত্রিসভার কর্মকর্তা নিহত হন।
প্রসঙ্গত, কাতারে হামলা চালানোর বিষয়টি ছিল ইসরায়েলের বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ। গত ৭২ ঘণ্টার ব্যবধানে তেল আবিব ছয়টি দেশের ওপর হামলা চালায়। যার মধ্যে রয়েছে- ফিলিস্তিন, সিরিয়া, তিউনিশিয়া, লেবানন, কাতার ও ইয়েমেন। গত সোমবার থেকে এই হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এদিন গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১৫০ জন নিহত এবং ৫৪০ জন আহত হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: