মাকে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান অং সান সু চির ছেলের

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৩ জুন ২০২৩ ২০:১৯

অং সান সু চির ছেলে কিম আরিস : সংগৃহীত ছবি অং সান সু চির ছেলে কিম আরিস : সংগৃহীত ছবি

 

মাকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির ছোট ছেলে কিম আরিস। আজ ২৩ জুন, শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।

লন্ডনে একটি সাক্ষাৎকারে কিম আরিস বলেন, ‘আমি আমার মাকে কারাগারে থাকতে দিতে পারি না।’ এ সময় তিনি মায়ের মুক্তির জন্য তাঁকে সাহায্য করার জন্য বিশ্বের কাছে আহ্বান জানান।

আরিস অভিযোগ করেন, তাঁকে মায়ের কোনো খোঁজখবর দিচ্ছে না দেশটির সেনাবাহিনী। এমনকি তাঁর মায়ের স্বাস্থ্যের অবস্থা কী সেটিও জানানো হচ্ছে না তাঁকে। বার্মিজ দূতাবাস, ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর এবং আন্তর্জাতিক রেড ক্রসে যোগাযোগ করতে করতে ক্লান্ত তিনি। এদের কেউই তাঁকে সাহায্য করতে পারেনি।

এর আগে ১৯৮৯ থেকে ২০১০ সালে তাঁর মাকে আটক করে রাখা হয়েছিল। সে সময়ে গণমাধ্যমে কোনো কথা বলেননি আরিস। বিবিসিতে দেওয়া এটিই তাঁর প্রথম সাক্ষাৎকার জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে চাইনি। আমি এগুলোর সঙ্গে জড়িত হতে চাই না।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটি ভালো যে আমি রাজনীতি থেকে দূরে ছিলাম। আমার মা কখনো চাননি আমি রাজনীতিতে আসি। কিন্তু মা এখন জেলে। সামরিক বাহিনীর অভিযোগ স্পষ্টতই যোক্তিক নয়।’

২০২১ সালে একটি অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর সু চিকে ধারাবাহিক বিচারে ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ সময় মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়।

নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া অং সান সু চি মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী হিসেবে পরিচিত। ২০১০ সালে প্রায় ১৫ বছর আটক থাকার পর মুক্তি পান তিনি। সে সময় মিয়ানমারসহ সারা বিশ্বে তাঁর মুক্তির দিনটি উদযাপিত হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তাঁর সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন মুসলিম রোহিঙ্গাদের নৃশংস হত্যার জন্য সমালোচিত হন সু চি। পরবর্তীতে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মিয়ানমার থেকে প্রায় এক মিলিয়ন রোহিঙ্গা পালিয়ে আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে। বর্তমানে শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছেন তাঁরা।

 

সূত্র : বিবিসি



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: