
কানাডায় সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সম্পূর্ণ এক নতুন রাজনৈতিক পরিবেশের মধ্যে ভোট দিচ্ছেন দেশটির নাগরিকরা। কানাডার নির্বাচনকে অনেকে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন হিসেবে দেখছেন।
নির্বাচনের আগে দেশটির ওপর শুল্কারোপ ও দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য করার প্রস্তাব দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এর পরিপ্রেক্ষিতে কানাডায় দেশপ্রেমের জোয়ার বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে লিবারেল পার্টির নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির।
তবে ভোটের আগের দিন অনাকাঙ্খিত ঘটনার সাক্ষী হয় কানাডা। ভ্যাঙ্কুভারে জনসমাগমে গাড়ি চালিয়ে দেয়া হয়। এতে নিহত হন ১১ জন। আহত হন আরও অনেকে।
যদিও বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এ ঘটনা ভোটারদের ভোটদানে নিরুৎসাহিত করবে না। দুটি জরিপে অবশ্য লিবারেল পার্টিকে এগিয়ে থাকতে দেখা গেছে। ইপসোসের জরিপে দেখা গেছে, লিবারেল পার্টি ৪২ শতাংশ জনসমর্থন পেয়েছেন। কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছেন ৩৮ শতাংশ।
জরিপের ফলাফল ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, লিবারেল পার্টি টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে পারে। তবে মার্ক কার্নি সম্ভবত হাউস অব কমন্সে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবেন না। এর জন্য তাকে ছোট দলগুলোর ওপর নির্ভর করতে হতে পারে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: