পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা না করলে ইরানে বোমা মারবেন ট্রাম্প

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৩১ মার্চ ২০২৫ ০৬:২৩

ছবি : সংগৃহীত ছবি : সংগৃহীত

ইরান যদি তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে না আসে তাহলে দেশটিতে বোমা মারার হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।

এখানেই শেষ নয়, চুক্তি না করলে তার প্রথম মেয়াদের মতোই তেহরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত অন্য দেশগুলোর ওপর শুল্ক আরোপ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

রোববার এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানি কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা চলছে। যদিও এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।

“তারা যদি চুক্তি না করে, তাহলে বোমা মারা হবে। একটা সম্ভাবনা রয়েছে, যদি তারা চুক্তি না করে তাহলে তাদের ওপর আমি সেকেন্ডারি শুল্ক আরোপ করতে পারি, যেমনটা চার বছর আগে করেছিলাম,” বলেছেন ট্রাম্প।

সেকেন্ডারি শুল্ক অর্থ, যেসব দেশ ইরানের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করবে তাদের ওপর শুল্ক আরোপ করা। ভেনেজুয়েলা থেকে তেল ও গ্যাস ক্রয়কারী দেশগুলোর ওপর শুল্ক আরোপ করতে গিয়ে ট্রাম্প সম্প্রতি এই ‘সেকেন্ডারি শুল্ক’ শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করেন।

২০১৭-২১ সালের প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন।

ওই চুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিনিময়ে তেহরানের পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত রাখার শর্ত দেওয়া ছিল।

ট্রাম্প কেবল চুক্তি থেকে ওয়াশিংটনকে তুলেই নেননি, তিনি ইসলামিক প্রজাতন্ত্রটির ওপর আগের সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন, দেন নতুন সব বিধিনিষেধও। এর পাল্টায় ইরানও ২০১৫ সালের চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা বাড়াতে থাকে।

চলতি মেয়াদেও ট্রাম্প ইরানকে নানান হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছেন, যদিও তেহরানকে এতে দমে যেতে দেখা যাচ্ছে না।

তারা সম্প্রতি ওমানের মাধ্যমে ট্রাম্পের দেওয়ার চিঠির জবাবও দিয়েছে বলে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচিকে উদ্ধৃত করে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে ইরানি বার্তা সংস্থা ইরান।

পশ্চিমা দেশগুলোর আশঙ্কা, ইরান ইউরেনিয়ামের মাত্রা সমৃদ্ধ করতে করতে একসময় পারমাণবিক বোমা বানানোর সক্ষমতা অর্জন করে ফেলবে, যা মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মতো পশ্চিমা মিত্রদের আধিপত্য খর্ব করবে এবং অঞ্চলজুড়ে তেহরানের প্রভাব বাড়াবে।

এই ধারণা উড়িয়ে দিয়ে ইরান বলছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচির উদ্দেশ্য কখনোই সামরিক ছিল না।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: